কেকেআর: ১৭১/৯(নীতীশ ৪২, রিঙ্কু ৪৬, জ্যানসেন ২/২৪)
সানরাইজার্স: ১৬৬/৮ (মার্করাম ৪১, বৈভব ২/৩২)
৫ রানে জয়ী কেকেআর।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বস্তির জয় পেল কেকেআর। পাঁচ রানে নাইটরা জিতে এখনও টিকে রইল প্লে অফের দৌড়ে। বৃহস্পতিবার হেরে গেলে কার্যত শেষ হয়ে যেত কেকেআরের আইপিএল অভিযান। সেই জায়গায় হায়দরাবাদকে হারিয়ে আশা বাঁচিয়ে রাখল নীতীশ রানার দল।
বাকি চারটে ম্যাচ এখনও কেকেআরের কাছে মরণবাঁচনের। একটা ম্যাচে পা হড়কানো মানে সব শেষ। প্লে অফ যেতে হলে নিদেনপক্ষে আটটা ম্যাচ জিততেই হবে টিমগুলোকে। আর সেই লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে হলে পড়ে থাকা বাকি চারটি ম্যাচই এখন ফাইনাল নাইটদের।
[আরও পড়ুন: বোর্ডের করা জরিমানার টাকা মেটাবেন না কোহলি, গম্ভীরের কী হবে?]
এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় কেকেআর। দুই নাইট ওপেনার জেসন রয় এবং গুরবাজ শুরুটা ভাল করতে পারেননি। গুরবাজ খাতা না খুলেই ফিরে যান। ভেঙ্কটেশ আইয়ারের ব্যাট ‘বোবা’ থেকে যায়। ১৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে কেকেআর তখন ধুঁকছে। জেসন রয় মাত্র ২০ রানে আউট হন। তখন কেকেআরের রান ৩৫। এদিকে চলে গিয়েছে তিন-তিনটি উইকেট।
এর পরই ইনিংস গোছানোর কাজ শুরু করেন নাইট অধিনায়ক নীতীশ রান ও রিঙ্কু সিং। দু’ জনে ৬১ রানের পার্টনারিশপ গড়েন। মার্করামের বলে নাইট অধিনায়ক আউট হন। নিজের বলে অনেকটা দৌড়ে মার্করাম দুর্দান্ত ক্যাচটি ধরেন। ৪ উইকেটে ৯৬ কেকেআর, এই পরিস্থিতিতে ব্যাট করতে নামেন আন্দ্রে রাসেল। তাঁর কাছ থেকে এদিন ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের প্রত্যাশা ছিল। শুরুতে রাসেল সেরকম ইঙ্গিতই দিয়েছিলেন। ঠিক যেসময়ে তাঁকে আরও বেশি করে দরকার ছিল নাইটদের, তখনই মারকান্দেকে মারতে গিয়ে নটরাজনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ক্যারিবিয়ান তারকা। সুনীল নারিনও দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো আউট হন। রিঙ্কু সিং লড়াই চালিয়ে যান। তিনি ছিলেন বলেই কেকেআর ভদ্রস্থ জায়গায় পৌঁছয়। ৩৫ বলে ৪৬ রান করে ফেরেন রিঙ্কু। শেষের দিকে অনুকূল রায় ৭ বলে ১৩ রান করে অপরাজিত থেকে যান। ২০ ওভারে নাইটরা করে ৯ উইকেটে ১৭১।
রান তাড়া করতে নেমে মায়াঙ্ক আগরওয়ালের উইকেট হায়দরাবাদ হারায় ২৯ রানে। হর্ষিত রানার বলে গুরবাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মায়ঙ্ক (১৮)। শার্দূল ঠাকুর ফেরান আরেক ওপেনার অভিশেক শর্মাকে (৯)। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের রান তখন ২ উইকেটে ৩৭। রাহুল ত্রিপাঠি (২০) ভয়ংকর হয়ে ওঠার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। রাসেলকে ওভার বাউন্ডারি, বাউন্ডারি হাঁকান। কিন্তু তাঁকে ফেরান সেই রাসেলই। অনুকূল রায় বল করতে এসেই এলবিডব্লিউ করেন হ্যারি ব্রুককে (০)। চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। মার্করাম ও ক্লাসেন বুকের উপরে চেপে বসা পাথর সরান। দুই ব্যাটারের মধ্যে বেশি মারমুখী ছিলেন ক্লাসেন। এই দুই ব্যাটারই নাইটদের পালটা চাপে ফেলে দেন। ৭০ রান জোড়েন দু’জন।
যেনতেনপ্রকারেণ উইকেট দরকার ছিল কেকেআরের। একমাত্র উইকেট নিতে পারলেই ম্যাচ জেতা যাবে। শার্দূল ঠাকুর বল হাতে ফিরেই বিপজ্জনক ক্লাসেনকে (৩৬) তুলে নিলেন। ক্লাসেন ফেরার পরেও ক্রিজে ছিলেন সানরাইজার্সের অধিনায়ক মার্করাম। ম্যাচ বের করতে হলে মার্করামকে থাকতেই হত। অন্যদিকে, কেকেআর-কে হায়দরাবাদ ক্যাপ্টেনের উইকেটটা নিতেই হত। মার্করাম (৪১) ফিরলেন বৈভব আরোরাকে মারতে গিয়ে। শেষ ২ ওভারে জেতার জন্য হায়দরাবাদের দরকার ছিল ২০ রান। বৈভব ফেরান মার্কো জ্যানসেনকে। কিন্তু তবুও লড়াইয়ে ছিল হায়দরাবাদ। শেষ ওভারে জেতার জন্য সানরাইজার্সের দরকার ছিল ৯ রান। বরুণ চক্রবর্তী শেষ ওভারে তুলে নেন বিপজ্জনক সামাদকে (২১)। মোক্ষম সময়ে উইকেট যায় সানরাইজার্সের। শেষ তিন বলে হায়দরাবাদের দরকার ৭ রান। সেই রান আর তুলতে পারেনি সানরাইজার্স। শেষ বলে প্রয়োজন ৬ রান। কোনও রানই করতে পারেননি ভুবি। ম্যাচ জিতে নেয় কেকেআর।