অভিরূপ দাস: গৃহহীনদের ‘আশ্রয়ে’ টাকা নিয়ে ব্যবসা। খবর পেয়েই ব্যবস্থা নিল কলকাতা পুরসভা। কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে।
থাকেন ফুটপাথে, ভিক্ষে করে দিন গুজরান, এমন মানুষের জন্য বিনামূল্যে মাথার ছাদের বন্দোবস্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেোপাধ্যায়। সেইমতো কলকাতায় গৃহহীনদের জন্য ১২টি আশ্রয় তৈরি করেছে কলকাতা পুরসভা। থাকেন ৬৮৪ জন ভিখারি। তার মধ্যে নয়টি আশ্রয় বা ‘শেল্টার ফর আর্বান হোমলেস’ পরিচালনা করে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি। রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব স্টেট আরবান ডেভলপমেন্ট এজেন্সির। বাকি তিনটি ‘আশ্রয়’ আবাসনের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ দফতর।
মেয়র পারিষদ (সোশাল সেক্টর) মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “প্রতিটি আশ্রয়ে বিনামূল্যে থাকেন গৃহহীনরা। তাঁদের কাছ থেকে কোনও অর্থ নেওয়া যাবে না। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা নিয়মভঙ্গ করেছিল। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।” মিতালি বলেছেন, “এবার থেকে প্রতিটি ‘আশ্রয়ে’ সারপ্রাইজ ভিজিট-এ যাওয়া হবে। কোনওরকম আইন বিরুদ্ধ কাজ বরদাস্ত করবে না পুরসভা।”
[আরও পড়ুন: এক উড়ানেই রামদর্শন, বিমানপথে অযোধ্যার সঙ্গে জুড়ছে কলকাতা]
শহরে মোট ১২টি আশ্রয়ের মধ্যে অনেকগুলিতে এখনও ঘর খালি। পুরসভা সূত্রে খবর, যে তিনটি ‘আশ্রয়’ আবাসন নারী শিশু কল্যাণ দফতর দেখে সেগুলির মধ্যে একটি গ্যালিফ স্ট্রিটে, একটি ১৯বি চেতলা রোডে ও অন্যটি নর্দার্ন পার্কে। এর মধ্যে অনেক গুলিতেই ঘর খালি আছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, গালিফ স্ট্রিটে ৪০ জন গৃহহীনকে রাখার জায়গা আছে। সেখানে রয়েছে ২৯ জন গৃহহীন। ১৯বি চেতলা রোডে ৮৩ জনের জায়গা রয়েছে, রয়েছেন ৮৩ জন গৃহহীন। তবে নর্দার্ন পার্কে ৪০ জন গৃহহীনের থাকার জায়গা থাকলেও রয়েছেন ৩০ জন। মেয়র পারিষদ জানিয়েছেন, “শহরের জনপ্রতিনিধিরা তাঁদের এলাকার দরিদ্র, গৃহহীনদের এখানে পাঠান। শুধু থাকার জায়গা নয়, গৃহহীনদের যদি কোনওরকম অসুখ করে তার চিকিৎসারও বন্দোবস্ত রয়েছে আশ্রয়গুলিতে।” তিনি জানান, যেখানে ঘর খালি রয়েছে, সেখানে এলে থাকার ব্যবস্থা করবে পুরসভা। কাউন্সিলরদের এজন্য উদ্যোগ নিতে বলেছেন মেয়র পারিষদ।