সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সপ্তাহান্তের আনন্দ একেবারে বদলে গেল শোকে। কানাডায় (Canada) জোড়া ছুরি হামলায় নিহত হলেন অন্তত ১০ জন। জখম হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভরতি আরও ১৫ জন। কানাডার স্যাসকাচুয়ান প্রদেশের ওয়েল্ডেন এবং জেমস স্মিথ ক্রি নেশন – এই দুই এলাকায় রবিবার সন্ধ্যায় দুই যুবক ছুরি নিয়ে হামলা (Stabbing) চালায়। ছুরির আঘাতে একে একে ১০ জন মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়েন। এত বড় হামলার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যায় পুলিশ। আহতদের তড়িঘড়ি উদ্ধার করে অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে হাসপাতালে ভরতি করায়। তবে আততায়ীদের খোঁজ মেলেনি। হামলা চালানোর পর কালো একটি গাড়ি নিয়ে চম্পট দেয়। স্যাসকাচুয়ান ওয়েল্ডেনে জারি জরুরি অবস্থা। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। কানাডার সাম্প্রতিক অতীতে এত বড় হামলার নিদর্শন নেই বলেই জানা যাচ্ছে।
জানা গিয়েছে, সকালে প্রথম হামলার ঘটনাটি ঘটেছে স্যাসকাচুয়ান (Saskatchewa) প্রদেশের ওয়েল্ডেনে। এলাকাটিতে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মানুষের বাস। সেই জায়গাকেই হামলার জন্য বেছে নেয় আততায়ীরা। ড্যামিয়েন স্যান্ডারসন ও মাইলস স্যান্ডারসন (Damien Sanderson and Myles Sanderson) নামে দুই যুবক ছুরি নিয়ে আচমকাই জনতার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। হামলার খবর পেয়েই পুলিশ উদ্ধারকাজ শুরু করে। গোটা এলাকায় জারি করা হয় জরুরি অবস্থা। হামলাকারীদের খোঁজে চলে তল্লাশি। স্যাসকাচুয়ানের রয়্যাল কানাডা মাউন্টেড পুলিশের তরফে অফিসার রোন্ডা ব্ল্যাকমোর জানাচ্ছেন, ”হামলার ধরন দেখে মনে হচ্ছে, কেউ কেউ আততায়ীদের টার্গেট ছিল, বাকিরা মাঝে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন। আর সেই কারণেই হামলার নেপথ্যে ঠিক কী কারণ, তা বোঝা জটিল।”
[আরও পড়ুন: বাংলার সংগঠন নিয়ে ‘অসন্তুষ্ট’, পদ্মশিবিরের গোড়ায় গলদ খুঁজতে আসছেন বনসল-সতীশ]
ওয়েল্ডেনে হামলার রেশ কাটতে না কাটতেই বিকেলে ফের একই ধরনের হামলা চলে জেমস স্মিথ ক্রি নেশানে। সেখানে প্রায় ২৫০০ মানুষে বসবাস করেন। রক্ত ঝরে সেখানেও। এরপরই দুই যুবক একটি কালো দামি গাড়িতে এলাকা থেকে চম্পট দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, তাঁদের গন্তব্য ছিল রেজিনা শহরের দিকে, যা সেই এলাকা থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে। কাছাকাছি সমস্ত পুলিশ স্টেশনে আততায়ীদের ছবি ও বিবরণ দিয়ে খোঁজ করার ঘোষণা করে পুলিশ। কিন্তু তাদের ধরা যায়নি বলেই খবর। আততায়ী ড্যামিয়েন ও মাইলসের বয়স ৩০-৩১ বছর।
ঘটনার তীব্র নিন্দা করে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। টুইটে তিনি লেখেন, ”ভয়ংকর এবং হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে স্যাসকাচুয়ানে। যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের কথা আমি ভাবছি। তাঁদের সঙ্গে সম্পূর্ণ মর্মস্পর্শী।”