সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় বলে মধু (Honey) অমৃতের সমান। আবার এই কথা যখন কেউ কঠিন স্বরে বলেন, তাঁকে শুনতে হয় – “ছোটবেলায় মুখে কেউ মধু দেয়নি?” কথিত আছে, প্রাচীনকালে গ্রিসের খেলোয়াড়রা মধু খেয়ে মাঠে নামতেন। কারণ মধুতে রয়েছে উচ্চমাত্রার ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ রয়েছে। আর তাতে শরীরের পরিশ্রমের ক্ষমতা বাড়ত। এছাড়াও মধুর অনেক উপকারিতা রয়েছে, যা করোনার এই আবহে আপনার শরীরকে অনেক কিছু থেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে।
Advertisement
[আরও পড়ুন: করোনা আবহে সচেতনতার বার্তা দিচ্ছে গ্রাফিক টি-শার্ট, হিড়িক পড়েছে কেনার]
- কাশির ক্ষেত্রে মধু খুবই উপকারী। একটু উষ্ণ গরম জলের সঙ্গে যদি মধু খাওয়া যায়, তাহলে কাশির উপশম হয়। রাতে ঘুমাবার আগে খেলে ঘুমও ভাল হয়। বৃষ্টির আবহে অযথা গলা খুসখুস করলেও একটু মধু খেয়ে নিলে উপকার পাবেন।
- ক্যানসারের মতো মারণরোগ প্রতিরোধ করতেও মধু সাহায্য করে। হৃদরোগে যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও মধু খুবই কাজে দেয়। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস ও ফ্ল্যাভনয়েডস রয়েছে। এই সমস্ত সমস্যার ক্ষেত্রে উপকারী।
- ডায়াবেটিস রোগীরা মধু একেবারেই খেতে পারবেন না, তা নয়। তবে যতটুকু মধু খাবেন, তার সমতুল্য পরিমাণ শর্করা জাতীয় খাদ্য ওই বেলা কম খেতে হয়। নিয়ম মেনে মধু খেলে কোনও ক্ষতি হয় না।
- মধু প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি। এতে চিনির থেকেও বেশি গ্লুকোজ থাকে। তবে উষ্ণ জলের সঙ্গে একটু লেবু মিশিয়ে খেলে তা মেদ ঝরাতে খুবই কার্যকর।
- কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় যাঁরা ভোগেন, তাঁরাও নিয়মিত খাবারের তালিকায় মধু রাখতে পারেন। এতে নিত্যকর্ম সারতে সুবিধা হবে।
- সব ধরনের মধু অ্যান্টি-ব্যাক্টিরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল হয়। কারণ জমিয়ে রাখা মধু মুখ দিয়ে উগড়ে দেয় তাতে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড থাকে।
- রাতভর জমিয়ে পার্টি করার পর সকালে উঠতেই যখন হ্যাংওভার মাথায় তাণ্ডব করবে তখন তা কাটাতে মধুর জুড়ি মেলা ভার। জলের মধ্যে মধু মিশিয়ে খেয়ে নিয়েই টের পাবেন পরিবর্তন।
[আরও পড়ুন:করোনা আবহে শাড়িই বাড়াবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা! আজব দাবি প্রস্তুতকারকের]
কথায় বলে, মধুরেণ সমাপয়েত। অর্থাৎ শেষটা যদি মিষ্টি মধু দিয়ে হয়, তাহলে বাঁচার আনন্দটা বোধহয় একটু বেশি উপভোগ্য হবে।
The post ম্যাজিকের মতো কাজ করে মধু, এই উপকারিতাগুলির জন্য রাখুন রোজকার খাবারের তালিকায় appeared first on Sangbad Pratidin.