সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: ৯ তলায় ছাদ থেকে পড়ে গুরুতর জখম হয়েছিল। চিন্তায় দিশেহারা অবস্থা হয়েছিল মা-বাবার। প্রায় দু’মাস পর অবশেষে বাড়ি ফিরল মহেশতলার অন্বেষা ঘোষ (৮)। ছোট্ট সদস্য সুস্থভাবে বাড়ি ফেরায় খুশির হাওয়া পরিবারে। খুশি আবাসনের সদস্যদেরও।
গত ১ ডিসেম্বর মহেশতলার একটি বহুতল আবাসনে ঘটেছিল দুর্ঘটনা। নামী বহুতল আবাসনে ফ্ল্যাট কিনেছিলেন সরকারি চাকুরে গৌতম ঘোষ ও তাঁর পরিবার। ফ্ল্যাটের গৃহপ্রবেশের দিন করিডরে লুকোচুরি খেলতে গিয়ে ন’তলার ফায়ার এক্সিট থেকে গ্রাউন্ড ফ্লোরে পড়ে যায় ছোট্ট অন্বেষা। আনন্দের পরিবেশে আচমকাই এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে আসে। তাকে উদ্ধার করে মহেশতলার এক বেসরকারি নার্সিংহোমে প্রথমে ভরতি করা হয়। এরপর ধীরে ধীরে অন্বেষার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকলে কলকাতার বড় হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। হয় অস্ত্রোপচার। আবাসন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেই গাফিলতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন আবাসিকরা। যদিও আবাসন কর্তৃপক্ষ ছোট্ট অন্বেষার সমস্ত চিকিৎসার ভার বহন করে।
[আরও পড়ুন: ‘২০৪৭ সালের মধ্যে দারিদ্রমুক্ত ভারত গড়বে এই সরকার’, বাজেট অধিবেশনে বার্তা রাষ্ট্রপতির]
শুধু তাই নয়, খবর পেয়ে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও অন্বেষার খোঁজখবর রাখতে শুরু করেন। সাংসদের আপ্তসহায়কের মাধ্যমে অন্বেষার সম্পূর্ণ চিকিৎসার দায়িত্বভার গ্রহণের কথাও সাংসদ জানান। স্থানীয় পুরপিতা সুকান্ত বেরা নিয়মিত খোঁজখবর রাখতেন আহত শিশুর। কালীঘাটে তৃণমূল অফিস থেকেও একাধিকবার সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অন্বেষার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ নিতেন। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অবশেষে সুস্থ সে।
এতদিন পর ছোট্ট অন্বেষা বাড়ি ফেরায় স্বাভাবিক ভাবেই আবাসিকদের মধ্যে আনন্দের জোয়ার। পরিবারে খুশির হাওয়া। তবে অন্বেষা স্বাভাবিকভাবে কথাবার্তা বলতে পারলেও এখনও পর্যন্ত হাঁটাচলা করতে পারছে না বলেই খবর। যদিও উঠে দাঁড়াতে পারছে। দীর্ঘ ২২ দিন কোমায় ছিল সে। প্রায় দু’মাস চিকিৎসার পর এদিন অন্বেষা বাড়ি ফিরলেও ডাক্তারের দেওয়া বিধিনিষেধ মেনেই আপাতত তাকে থাকতে হবে। সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে অন্বেষার আরও কিছুদিন সময় লাগতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।