নিরুফা খাতুন: গত ২০১০ সালের পর ২০২৩। ১৩ বছর পর ‘উষ্ণতম’ মকর সংক্রান্তির সাক্ষী বাংলা। তার সঙ্গে কুয়াশার দাপট। বুধবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিতে ভিজতে পারে কলকাতা-সহ বেশ কয়েকটি উপকূলের জেলা। কুয়াশার জেরে স্বাভাবিকভাবেই ব্যাহত দুরপাল্লার রেল ও বিমান পরিষেবা। লোকাল ট্রেন চলাচলে কুয়াশা কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি বলেই দাবি রেল কর্তৃপক্ষের।
রবিবার সকাল থেকে কুয়াশার চাদরে মুখ ঢেকেছে কলকাতা-সহ গোটা রাজ্য। তার ফলে সকালের দিকে দৃশ্যমানতা কমে যায় বেশ খানিকটা। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, এদিন দিনভর আকাশ মেঘলাই থাকবে। সকালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬.৯ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৬৩ থেকে ৯৪ শতাংশ।
[আরও পড়ুন: ‘ভারত জোড়ো’য় শামিল হতে CPM-সহ বাম দলগুলিকে আহ্বান কংগ্রেসের, কী বলছে তৃণমূল?]
কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে সকালের দিকে ঘন কুয়াশার সতর্কতা। দৃশ্যমানতা অনেকটা নেমে যেতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেও আগামী ৪৮ ঘন্টায় ঘন কুয়াশার সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। মালদহ, উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহারে বেশি কুয়াশার সম্ভাবনা। রেল সূত্রে খবর, কুয়াশার দাপটে বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার এক্সপ্রেস দেরিতে চলছে। তবে লোকাল ট্রেনের ক্ষেত্রে কুয়াশা কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি। রবিবার সকালে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বিমান ওঠানামাও ব্যাহত হয়।
সোমবার এবং মঙ্গলবার তাপমাত্রা সামান্য নামবে। তবে বুধবার ফের ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে পারদ। মঙ্গলবারের পর থেকে রাজ্যের উপকূলের জেলাগুলিতে বৃষ্টি হতে পারে। বুধবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিতে ভিজতে পারে কলকাতা। আগামী দু-তিনদিন দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। দু’দিন ঘন কুয়াশার সতর্কতা উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায়।
এদিকে, আগামী বুধ এবং শুক্রবার নতুন করে পরপর দুটি শক্তিশালী পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে উত্তর-পশ্চিম ভারতে। এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে রয়েছে একটি উচ্চচাপ বলয়। এই উচ্চচাপ বলয় থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে বাতাসে ভর করে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। আগামী চার-পাঁচ দিন ঘন কুয়াশার চাদরে মুখ ঢাকতে পারে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ এবং বিহার। দৃশ্যমানতা কোথাও কোথাও শূন্যেও পৌঁছতে পারে। সোমবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড় এবং দিল্লিতে শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা জারি রয়েছে।