সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পেরিয়েছে ৯ ঘণ্টারও বেশি সময়। এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি বড়বাজারের আগুন (Fire)। গুদামের চারতলায় জল পৌঁছতে কার্যত হিমশিম খাচ্ছেন দমকল কর্মীরা। কতক্ষণে আয়ত্তে আসবে পরিস্থিতি, সেটাই এখন প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই দমকল মন্ত্রীকে ফোন করে পরিস্থিতির খোঁজ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
বেলা ১১টা নাগাদ কলুটোলা স্ট্রিটের একটি চারতলা গুদামের দোতলায় আগুন লাগে। দ্রুত গতিতে ছড়াতে থাকে আগুন। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, চারতলা পর্যন্ত ছড়িয়েছে আগুন। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ৩০টি ইঞ্জিন। তা সত্ত্বেও এখনও আয়ত্তে আনা যায়নি লেলিহান শিখা। তিনতলা পর্যন্ত জল পৌঁছনো হলেও চারতলায় দেওয়া সম্ভব হয়নি। পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে, দমকলকর্মীদের বাড়ির ভিতড়ে প্রবেশ করতে নাজেহাল হতে হচ্ছে।
[আরও পড়ুন:‘লখিমপুরের ঘটনা অমানবিক’, উত্তরপ্রদেশের কৃষক হত্যার তীব্র নিন্দা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ]
যে বহুতলটিতে আগুন লেগেছে, তার তিনতলায় থাকত বেশ কয়েকটি পরিবার। জানা গিয়েছে, আগুন টের পাওয়ামাত্রই ঘর ছাড়েন তাঁরা। ফলে বড়সড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে। তবে কতক্ষণে আগুন আয়ত্তে আসবে, এখন সেদিকেই তাকিয়ে স্থানীয়রা। উল্লেখ্য, এদিন ঘটনার খবর পেয়েই সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Basu)। তিনি গোটা অপারেশনের তদারকি করেন। সূত্রের খবর, তিনি নিজেই আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগাতে যান। আর প্রবল ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেখান থেকে তাঁকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আগুনের খবর পাওয়ামাত্রই সুজিত বসুকে ফোন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। খোঁজ নিয়েছেন পরিস্থিতির।
প্রাথমিকভাবে দমকল আধিকারিকদের অনুমান, গোটা বাড়িটিতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। এদিকে ঘিঞ্জি এলাকা। তার উপর বাড়িতে মজুত ছিল দাহ্য পদার্থ। সেই কারণেই আগুন আয়ত্তে আনতে নাজেহাল অবস্থা। দমকলকর্মীরা জানিয়েছেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পরই বোঝা যাবে কী থেকে এই অগ্নিকাণ্ড।