অভিরূপ দাস: দশ বছরের ছেলের মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে উত্তাল হয়েছিল দমদমের (DumDum) একটি বেসরকারী হাসপাতাল চত্বর। মৃতের বাবা সুনীল দাসের অভিযোগ, সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ার কারণেই প্রাণ যায় ছেলের। অবশেষে ঘটনায় হাসপাতালকে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে বলল স্বাস্থ্য কমিশন।
দমদমের বাসিন্দা সুনীলবাবু আগস্ট মাসে ছেলেকে নিয়ে গিয়েছিলেন এলাকারই একটি বেসরকারী হাসপাতালে। তাঁর অভিযোগ, ছেলের শুধুমাত্র গলায় ব্যথা ছিল। বমি করছিল। চিকিৎসার জন্য ওই হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ছেলের ভুল চিকিৎসা হওয়ায় গত ৬ আগস্ট ওর মৃত্যু হয়। অভিযোগ রয়েছে আরও। ১০ বছরের আকাশ দাসের চিকিৎসার বিপুল বিলে যে সমস্ত ওষুধের দাম ধরা হয়েছে, রোগীকে আদৌ নাকি সেসব ওষুধ দেওয়াই হয়নি।
[আরও পড়ুন: একুশের মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাসে অনেকটা কাঁটছাট, ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর]
সুনীলবাবুর অভিযোগ, ছেলের ট্রিটমেন্ট শিট আমাদের দেখায়নি হাসপাতাল। কেস সামারিতে কোনও ওষুধের নামও লেখা নেই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রবল শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল শিশুটির। তাকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তরিত করার প্রয়োজন ছিল। সুনীলবাবুর অভিযোগ, ‘প্রয়োজন’ বলেই খালাস হাসপাতাল। কিন্তু কোনওরকম অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থাও তারা করে দেয়নি। যদিও স্বাস্থ্য কমিশনের (Health Commission) চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, এমনটা ঠিক নয়। অন্যত্র রেফার করলেও তার দায়িত্ব নেওয়া উচিত ছিল ওই হাসপাতালের। গোটা ঘটনায় মৃতের পরিবারকে তাদের অভিযোগ হলফনামার আকারে জমা দিতে বলা হয়েছে। হাসপাতালকেও বলা হয়েছে তাদের বক্তব্য জমা দিতে। শিশুটির মৃতদেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন। এবার হয়তো ছেলে ‘সুবিচার’ পাবেন, এমনই আশা সুনীলবাবু ও তাঁর পরিবারের।