পাঞ্জাব কিংস: ১৩৭/১০ (ভানুকা-৩১, উমেশ-২৩/৪)
কেকেআর: ১৪১/৪ (রাসেল-৭০*, বিলিংস-২৪*)
৬ উইকেটে জয়ী কেকেআর
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরসিবি ম্যাচে খেলতে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন। পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে আদৌ নামতে পারবেন তো আন্দ্রে রাসেল? সেই নিয়েই তৈরি হয়েছিল ধোঁয়াশা। কিন্তু মারকাটারি ব্যাটিং করে ক্যারিবিয়ান তারকা বুঝিয়ে দিলেন তিনি ঠিক কতখানি ফিট। একেবারে চোট খাওয়া বাঘের মতোই গর্জে উঠলেন রাসেল (Andre Russell)। আর সেই সঙ্গে একপেশে ম্যাচে পাঞ্জাবকে উড়িয়ে দিয়ে কোহলিদের কাছে হারের হতাশা ভুলল কেকেআর শিবির।
সবে টুর্নামেন্ট শুরু। তবে প্রথম থেকেই ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে পয়েন্ট ঝুলিতে ভরে রাখাই লক্ষ্য প্রত্যেক দলের ক্যাপ্টেনের। হাজার হোক, চলতি বছরই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। নিজেদের সেরাটা দিতে তাই কেউ পিছপা হচ্ছেন না। যেমন হলেন না শ্রেয়স আইয়ার। তাঁর মধ্যে কেকেআরের (KKR) প্রাক্তন অধিনায়ক গম্ভীরের ছায়া দেখেছিলেন প্রাক্তনীদের অনেকে। আবার সুনীল গাভাসকর আরও একধাপ এগিয়ে বলে দিয়েছিলেন, কেকেআরকে তিনি প্লে-অফে দেখছেন। শুক্রবার সত্যিই প্লে-অফে যাওয়ার মতোই পারফর্ম করল কিং খানের দল।
[আরও পড়ুন: স্ত্রীর গায়ে সিগারেটের ছ্যাঁকা, লাগাতার অত্যাচার! গ্রেপ্তার কলকাতার অভিজাত এলাকার ব্যবসায়ী]
বল হাতে আগুন ঝড়ালেন নাইটদের দুই পেসার উমেশ যাদব ও টিম সাউদি। শুরুতেই ১ রানে অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখিয়ে ধাক্কা দেন পাঞ্জাবের টপ অর্ডারে। শিখর ধাওয়ান (১৬), লিভিংস্টোন (১৯), রাজ বাওয়া (১১) থেকে ভাল ছন্দে থাকা শাখরুখ খানরা (০) টিকতেই পারলেন না। ভানুকার ৩১ ও রাবাডার ২৫ রানের দৌলতে স্কোরবোর্ডে ওঠে ১৩৭। একাই চারটে উইকেট তুলে নেন উমেশ। সাউদি পান ২টি। আট বল বাকি থাকতেই আকাশদীপকে রান আউট করে খেলা শেষ করে দেন রাসেল। আর আগে তুলে নেন রাবাডার উইকেটটিও।
পালটা কেকেআরের ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামানোর চেষ্টা করেও অবশ্য ব্যর্থই হলেন মায়াঙ্করা। রাবাডার দলে অন্তর্ভূতি প্রীতির পাঞ্জাবে এনেছিল অতিরিক্ত অক্সিজেন। কিন্তু তিনি পাঞ্জাব সমর্থকদের স্বপ্নপূরণ করতে পারলেন না। রাহুল চাহার, আকাশদীপদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে শুক্র-রাতের ওয়াংখেড়েতে উঠল রাসেল ঝড়। আর তাতেই তছনছ পাঞ্জাব। জয়ের সরণিতে ফিরে তিন ম্যাচে ৪ পয়েন্টের মালিক হয়ে গেল কেকেআর। দলের দুরন্ত জয়ের পরই রাসেল, শ্রেয়স, উমেশদের প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন মালিক শাহরুখ খান।