অভিরূপ দাস: ঠান্ডা লাগার মতোই নাকি করোনার (Coronavirus) নতুন স্ট্রেন ওমিক্রনের উপসর্গ। সর্দি, কাশি, হাঁচির মতোই। তবে রাজ্যের শেষ সাত দিনের বুলেটিন বলছে, আপাত নিরীহ ওমিক্রনও (Omicron) মারাত্মক হতে পারে। ফি দিন গড়ে প্রায় তিরিশজনের মৃত্যু হচ্ছে। চিকিৎসকদের বক্তব্য, যাঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছে তাঁদের জন্যও মারাত্মক আপাত নিরীহ ওমিক্রন। আনুষাঙ্গিক অসুখ থাকলে কোন পথে ক্ষতি করছে ওমিক্রন? তা জানার জন্যেই নিজের দেহ দান করলেন ৮৯ বছর বয়সের নির্মল চন্দ্র দাস।
শুক্রবার চিত্তরঞ্জন ন্যাশানাল ক্যানসার ইন্সটিটিউটে মারা যান নিউ টাউনের বাসিন্দা নির্মল চন্দ্র দাস। ক্যানসার আক্রান্ত নির্মলবাবু কিছুদিন আগে কোভিড (COVID-19) পজিটিভ হয়েছিলেন। তাঁর শেষ ইচ্ছে ছিল, মৃত্যু হলে তাঁর দেহ কাটাছেঁড়া করে যেন জানা যায় কীভাবে ক্ষতি করছে ওমিক্রন।
[আরও পড়ুন: গত ২৪ ঘণ্টায় ফের সামান্য ঊর্ধ্বমুখী কোভিড গ্রাফ, সংক্রমণের শীর্ষে কলকাতা]
শনিবার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে দান করা হবে নির্মলবাবুর দেহ। ডাঃ সোমনাথ দাসের তত্ত্বাবধানে তাঁর রোগ নির্ণায়ক ময়নাতদন্ত হবে। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডাঃ সোমনাথ দাস জানিয়েছেন, কীভাবে ওমিক্রন ভাইরাস মৃত্যুর কারণ হতে পারে তাই জানার চেষ্টা করা হবে নির্মলবাবুর দেহের এই নির্ণায়ক ময়নাতদন্তের মাধ্যমে।
মরণোত্তর দেহদানে অগ্রণী সংগঠন গণদর্পণের পক্ষ থেকে শ্যামল চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, গণদর্পণের পক্ষ থেকে নির্মল চন্দ্র দাসের পরিবারকে রোগ নির্ণায়ক ময়নাতদন্ত করার অনুরোধ করা হয়। এই প্রস্তাবে তাঁরা সম্মত হন। ওমিক্রনে মৃতের রোগ নির্ণায়ক ময়নাতদন্ত এ রাজ্যে তো প্রথমই সম্ভবত দেশেও প্রথম। এদিকে, ফের ঊর্ধ্বমুখী রাজ্যের কোভিড গ্রাফ। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ৩ হাজার ৮০৫ জন। যা বৃহস্পতিবারের তুলনায় কিছুটা বেশি। দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে কলকাতা। এমন পরিস্থিতিতেই চিকিৎসার স্বার্থে নিজের দেহদান করলেন কলকাতার বাসিন্দা।