নব্যেন্দু হাজরা: রেমালের দাপটে জল থইথই মেট্রো স্টেশন। তার ফলে সোমবার সকাল থেকে আংশিক বন্ধ ছিল মেট্রো পরিষেবা। প্রায় ৪ ঘণ্টারও বেশি সময় পর অবশেষে স্বাভাবিক মেট্রো(Kolkata Metro) চলাচল। তবে কার গাফিলতিতে এমন দুর্ভোগের শিকার হতে হল আমজনতাকে, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
পার্ক স্ট্রিট মেট্রো স্টেশনে প্রায় হাঁটুজল জমে যায়। কোথাও কোথাও কোমর জলও জমতে দেখা গিয়েছে। মেট্রো স্টেশনের সিঁড়ি দিয়ে ঢোকার মুখ থেকেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে এসপ্ল্যানেড স্টেশন চত্বর। আগে এমন দৃশ্য দেখেছেন কিনা তা মনে করতে পারছেন না প্রায় কেউই। তার ফলে মেট্রো স্টেশনে ঢুকতে গিয়ে কার্যত তাজ্জব হয়ে যান যাত্রীরা।
জলমগ্ন পার্ক স্ট্রিট ও এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন
দীর্ঘক্ষণ গিরিশ পার্কের পর থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত মেট্রো চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তার ফলে চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হন যাতায়াতকারীরা। যদিও কবি সুভাষ থেকে টালিগঞ্জ পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিকই ছিল। একে তো রাস্তায় অমিল বাস, অটো। তার উপর আবার অ্যাপ ক্যাবও পেতে কালঘাম ছোটে পথচলতিদের। তাই গন্তব্যে পৌঁছতে নাভিশ্বাস ওঠে। ঘণ্টাচারেকেরও বেশি সময় পর দুপুর ১২টা ৫ মিনিট নাগাদ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়। শক্তিশালী পাম্পের মাধ্যমে ট্র্যাক থেকে জল সরানোর পর গড়ায় মেট্রোর চাকা। তবে এখনও সাবওয়ে চত্বরে রয়েছে জল।
[আরও পড়ুন: ইজরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হানায় নিকেশ হামাস কমান্ডার! রাফায় মৃত অন্তত ৩৫]
এই প্রথমবার নয়। এর আগে গত বুধবারও পার্ক স্ট্রিট মেট্রো স্টেশন জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বার বার মেট্রোয় এহেন জলযন্ত্রণায় বিরক্ত যাত্রীরা। এই ভোগান্তির দায় কার, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি, রেমালের তাণ্ডবে কলকাতায় জল জমেছে। পুরসভার তরফে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ। সে কারণেই মেট্রো স্টেশনের জলমগ্ন দশা বলেই অনুমান। তবে মহানগরীতে জল জমার সমস্যা নতুন নয়। মাঝেমধ্যেই বৃষ্টিতে জল জমে কলকাতায়। সেক্ষেত্রে আগে মেট্রোয় এভাবে জল জমত না কখনও। বর্তমানে কেন বার বার জলমগ্ন হয়ে পড়ছে মেট্রো, সে প্রশ্ন উঠছেই। কেউ কেউ অবশ্য মনে করছেন, মেট্রোয় রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত গাফিলতি রয়েছে। সে কারণেই হয়তো এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে সুড়ঙ্গে যেকোনও মুহূর্তে বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কাও এড়ানো হয়তো সম্ভব হবে না।