অর্ণব আইচ: ‘আমি আত্মহত্যা করতে চলেছি।’ ১০০ ডায়ালে এই ফোন পেয়ে চমকে উঠেছিলেন লালবাজারের আধিকারিকরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন দক্ষিণ কলকাতার আলিপুর থানার আধিকারিকরা। আত্মঘাতী হওয়ার আগেই পুলিশ (Kolkata Police) বাঁচাল যুবককে।
পুলিশ জানিয়েছে, আলিপুর রোডে ওই যুবকের বাড়ি। পেশায় তিনি গাড়ির চালক। গত বছরের লকডাউনের সময় থেকেই তাঁর আর্থিক অবস্থার অবনতি হয়। তিনি কাজ পাচ্ছিলেন না। কঠোর নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ার পর থেকেও তাঁর হাতে ছিল না কাজ। তাই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। এদিন সকালে হঠাৎই ওই যুবক আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন।
[আরও পড়ুন: মূল্যায়নে অসন্তুষ্ট পড়ুয়াদের মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক কবে? দিনক্ষণ ঘোষণার দাবি শিক্ষকদের]
কিন্তু তার আগেই ফোন করেন ১০০ ডায়ালে। জানান, তিনি আত্মহত্যা করতে চলেছেন। এর পরই যুবকের মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরেই তাঁর ঠিকানা জানতে পারে পুলিশ। লালবাজারের পক্ষ থেকে আলিপুর থানাকে বিষয়টি জানানো হয়। আলিপুর রোডে বাড়ির দরজায় ধাক্কা দিয়ে যুবককে বের করে নিয়ে আসা হয়। আত্মহত্যার আগেই তাঁকে বাঁচানো হয়। তাঁকে আলিপুর থানায় নিয়ে গিয়ে কাউন্সেলিং করানো হয়। পুলিশের পরামর্শ, কেউ যদি মানসিক অবসাদে ভোগেন, তিনি যেন সঙ্গে সঙ্গেই ১০০ ডায়ালে ফোন করেন। তাঁর পাশে বন্ধু হয়ে দাঁড়িয়ে তাঁকে সহযোগিতা করবে পুলিশ।
করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনে কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। চাকরি হারিয়ে পেশাও বদল করতে হয়েছে অনেককে। সেই অবসাদে মৃত্যুর পথ বেছে নিচ্ছেন অনেকে। আত্মহত্যা রুখতে হাত বাড়িয়েছেন বহু মানুষ। বহু মানুষ শুরু করেছে কাউন্সিলিংও। সেলিব্রিটিরাও সাহায্যের হাত বাড়ি দিচ্ছেন। তবু আত্মহত্যার এই প্রবণতা রোখা বেশ কঠিন পড়ছে।