সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্মুখ সমরে গৌতম গম্ভীর এবং বিরাট কোহলি। দুই তারকার লড়াইয়ে হয়তো আরও একবার উত্তপ্ত হয়ে উঠবে ২২ গজ। গতবারের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। এমন আন্দাজ করেই কেকেআর-আরসিবি ম্যাচের দিকে নজর রেখেছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। কিন্তু হল একেবারে উলটো। কোথায় ঝামেলা? কীসের মেজাজ! সব যেন ম্যাজিকের মতো উধাও। উলটে ‘বিরাট’ ও ‘গম্ভীর’ ঝগড়ায় ইতি টেনে পরস্পরকে আলিঙ্গন করলেন কোহলি এবং গোতি। আর এহেন আচরণকে হাতিয়ার করেই সচেতনতার পাঠ দিল কলকাতা ও দিল্লি পুলিশ।
কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) তরফে একটি ছবি পোস্ট করা হয়। যেখানে কোহলি ও গম্ভীরের জড়িয়ে ধরার মুহূর্তটির ছবি শেয়ার করে লেখা হয়েছে, “সমস্যা বিরাট হোক বা গম্ভীর, সমাধানে ১০০ ডায়াল করুন। আপদে-বিপদে আপনার সাথে।” অর্থাৎ যে কোনও সময়, যে কোনও অসুবিধায় ১০০ ডায়াল করলে যে পুলিশের সাহায্য মেলে, সে কথাই আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। দিল্লি পুলিশও প্রায় একই বার্তা দিয়েছে। লিখেছে, “ঝগড়া হলে ১১২ ডায়াল করে শান্ত করুন। কোনও ঝগড়াই বিরাট অথবা গম্ভীর হয় না।”
[আরও পড়ুন: কলকাতার দুই কেন্দ্রে প্রচার নিয়ে বিশেষ ‘টিপস’ মমতার, কী বললেন?]
২০১৩ সালে গম্ভীর কেকেআরের অধিনায়ক থাকাকালীন প্রথম দুজনের গন্ডগোল শুরু হয়। দুজনেই তেড়ে যান একে-অপরের দিকে। গত মরশুমেও ম্যাচের শেষে প্রবল ঝামেলায় জড়িয়ে ছিলেন তাঁরা। একবার নয়, দুবার। চিন্নাস্বামীতে বেঙ্গালুরুকে হারানোর পর দর্শকদের চুপ করার ইঙ্গিত করেন গম্ভীর। ফিরতি ম্যাচে লখনউকে হারিয়ে একই ইঙ্গিত করেন কোহলি। তার পর আফগান পেসার নবীন-উল-হকের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ান তিনি। গম্ভীরও ডাগ আউট ছেড়ে মাঠে নেমে উত্তপ্ত কথাবার্তায় জড়িয়ে পড়েন। কিন্তু এবার নিন্দুকদের মুখে ছাই দিয়ে দূরত্ব ভুলে একে-অপরকে জড়িয়ে ধরলেন তাঁরা।
এহেন দৃশ্য দেখে রবি শাস্ত্রী মজা করে বলছেন, “গম্ভীরের বিরাটকে এই আলিঙ্গনের জন্য
কেকেআরের (KKR) ফেয়ারপ্লে পুরস্কার পাওয়া উচিত।” আরও একধাপ এগিয়ে সুনীল গাভাসকরের মশকরা, “শুধু ফেয়ারপ্লে কেন? ওরা অস্কারের যোগ্য।” এমনই মজার মজার আলোচনায় ট্রেন্ডিং হয়ে গিয়েছেন দুই তারকা।