শান্তনু কর. জলপাইগুড়ি: লকডাউনের সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় হয়েছিল আলাপ। টানা এক বছরের প্রেমের পর প্রথম দেখা। তারপর কালীঘাটে গিয়ে বিয়ে। বিয়ের ছ’মাসের মধ্যে নিখোঁজ স্বামী। পোস্টার নিয়ে হন্যে হয়ে স্বামীকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন স্ত্রী। স্বামীর খোঁজে পৌঁছে গিয়েছেন জলপাইগুড়ির রাস্তায়।
জানা গিয়েছে, মহিলার নাম পিঙ্কি সাহা। তিনি কলকাতার বিধাননগর এলাকার বাসিন্দা। লকডাউনের সময় ফেসবুকে তাঁর পরিচয় হয় সুভাষচন্দ্র দাস নামের এক যুবকের সঙ্গে। একটি অনলাইন গানের অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ আরও বাড়ে। অল্প সময়ের মধ্যেই বন্ধুত্ব প্রেমে পরিণত হয়। গত বছরের আগস্ট মাসে প্রথম সুভাষের সঙ্গে পিঙ্কির দেখা হয়। সাক্ষাতের কিছু সময় পর বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন দু’জন।
[আরও পড়ুন: শীঘ্রই শিয়ালদহ থেকে ফুলবাগান রুটে মিলবে মেট্রো পরিষেবা, গুণতে হবে বাড়তি ভাড়া]
কালীঘাটে গিয়ে মালাবদল করে সুভাষকে বিয়ে করেন পিঙ্কি। তারপর পার্ক সার্কাসে সংসার পাতেন দু’জন। সবই ঠিক চলছিল। ভালই ছিলেন পিঙ্কি। কিন্তু বিয়ের ছ’মাস পর আচমকা নিখোঁজ হয়ে যান সুভাষ। স্বামীর খোঁজ না পেয়ে চিন্তায় পড়ে যান পিঙ্কি। তপসিয়া থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন মহিলা।
পিঙ্কির অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। সুভাষের মোবাইল ট্রেস করে দেখা যায় তার শেষ লোকেশন জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি থেকে গয়েরকাটার মাঝে। খবর পেয়েই ধূপগুড়িতে ছুটে যান পিঙ্কি। সেখানে পোস্টার নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। বাংলায় স্নাতকোত্তের পর বিএড করেছেন পিঙ্কি। কিছুতেই মানতে পারছেন না, স্বামী তাঁকে ছেড়ে চলে যেতে পারেন। এক বছরের প্রেমের প্রতি অগাধ বিশ্বাস রয়েছে তাঁর। সেই বিশ্বাসেই হন্যে হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। স্বামীর ছবি হাতে নিয়ে পথচলতি মানুষের কাছে সন্ধান চাইছেন। পিঙ্কির সঙ্গে রয়েছেন তাঁর দাদাও। দু’জনে মিলে ধূপগুড়ির রাস্তায় সুভাষকে খুঁজে চলেছেন।