অর্ণব আইচ: বেআইনি অস্ত্রের রমরমা! গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হানা দিয়ে ৯টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করল পুলিশ। ইতিমধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। একের পর এক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় বারুইপুর, ডায়মন্ড হারবার, পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম মেদিনীপুরে অভিযান চালায় পুলিশ। আবার বনগাঁয় অভিযান চালায় সিআইডির স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ। অভিযান চলে হাওড়া কমিশনারেট এলাকাতেও। অভিযান চালিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে তারা। কীভাবে এত বেআইনি অস্ত্র রাজ্যে আসছে, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
মনে করা হচ্ছে, বিহার থেকে বাংলা হয়ে দেশের অন্যান্য প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে এই আগ্নেয়াস্ত্র। এই চক্র সমূলে উৎখাত করতে কোমর বেঁধে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ প্রশাসন। মিলছে সাফল্যও।
মাত্র কয়েক দিন আগে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় কলকাতা পুলিশের এসটিএফ (স্পেশাল টাস্ক ফোর্স)। সুরেন্দ্রনাথ কলেজের উলটোদিকে অত্যন্ত ব্যস্ততম বৈঠকখানা রোডে উদ্ধার হয় ৫টি আগ্নেয়াস্ত্র-সহ ৯০ রাউন্ড কার্তুজ। এই ঘটনায় মহম্মদ ইসমাইল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেই সূত্র ধরে বিহারেও অভিযান চালায় কলকাতা পুলিশ।
বিহারের মুঙ্গের জেলার গাজীপুর থানা এলাকার মহম্মদ মোনাজিরের বাড়িতে হানা দেয় যৌথ বাহিনী। দেখা যায়, সেখানে রমরমিয়ে থালা তৈরির কারখানা চলছে। তল্লাশি চালাতেই বেরিয়ে আসে আসল ছবি। মাটির নিচে রয়েছে গোপন কুঠুরি। সেখানে রয়েছে নানা ধরনের মেশিন। যেখানে তৈরি হত আগ্নেয়াস্ত্র। উল্লেখ্য, গত তিন বছরে বিহারে একের পর এক অস্ত্র কারখানার উদ্ধার হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৪টি কারখানার পর্দাফাঁস করেছে পুলিশ। এর মাঝেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার পুলিশের চিন্তা বাড়িয়েছে।