সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউনিসেফের অভিনব উদ্যোগ। রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে কলকাতা ও আশেপাশের এলাকার বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের বক্তব্য শুনলেন নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। মঙ্গলবার 'লিসন টু দ্য ফিউচার' শীর্ষক আলোচনাসভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের শীর্ষ আধিকারিকরাও।
শিশু দিবসের প্রাক্কালে 'লিসন টু দ্য ফিউচার' শীর্ষক ওই আলোচনাসভার আয়োজন করেছিল ইউনিসেফ। তাতে কলকাতা এবং আশেপাশের বেশ কয়েকজন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু ও কিশোর-কিশোরীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী, অঙ্গনওয়াড়ি, মিড-ডে মিলের মতো সরকারি প্রকল্পের কাজ কেমন চলছে মূলত সেটাই মন্ত্রীর কাছে তুলে ধরে এই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুরা। এর পাশাপাশি বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা নিয়েও একাধিক প্রসঙ্গ উঠে আসে।
একাদশ শ্রেণির ছাত্রী তথা কন্যাশ্রী ক্লাবের সদস্য পারভিন সুলতানা (নাম পরিবর্তিত) এদিন শশী পাঁজাকে অনুরোধ করে, শিশু সুরক্ষা কমিটির বৈঠকগুলি শনি বা রবিবার করানো হোক। কারণ সপ্তাহের অন্যান্য দিন ওই বৈঠকগুলি হলে বহু ছেলেমেয়ে স্কুলের জন্য উপস্থিত থাকতে পারে না। তাতে শশী পাঁজা পারভিনকে স্থানীয় আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। সগুপ্তা (নাম পরিবর্তিত) নামের একটি বধির শিশু এদিন মন্ত্রী শশী পাঁজাকে অনুরোধ করে শিশু সুরক্ষা হেল্পলাইন ১০৯৮-এ যেন ফোনের পাশাপাশি এসএমএস করেও অভিযোগ করার ব্যবস্থা করা হয়। রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী বিষয়টি কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এদিনের আলোচনা সভা প্রসঙ্গে ইউনিসেফের বাংলা শাখার প্রধান ডঃ মনজুর হোসেন বলেন, "এই আলোচনা থেকে আমি বুঝলাম শিশুদের উন্নয়নের এমন অনেক দিক আছে যা হয়তো এখনও আমাদের মাথায় আসেনি, কিন্তু ওরা সেগুলো নিয়ে নিজেদের মধ্যে ইতিমধ্যেই আলোচনা করে ফেলেছে। ইউনিসেফ এই শিশুদের জন্য এভাবে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করার সুযোগ করে দেবে। যাতে ওরা আরও ভালো করে নিজেদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে পারে। সমাধানে অবদান রাখতে পারে।" ডঃ মনজুর হোসেন এদিন মুর্শিদাবাদের শিশুদের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের পর্বও তুলে ধরেন। তিনি জানান, মুর্শিদাবাদের শিশুরা তাঁকে বাল্য বিবাহ, মানসিক স্বাস্থ্য, পরিবেশ দূষণ নিয়েও মতামত দিয়েছে। এদিনের অনুষ্ঠানে নারী ও শিশুকল্যাণ দপ্তরের প্রধান সচিব সংঘমিত্রা ঘোষও উপস্থিত ছিলেন।