সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'স্বাধীনতার পর থেকে দেশের ব্যর্থতম ও অপদার্থতম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ,' অনুপ্রবেশ ইস্যুতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে তীব্র আক্রমণ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বুধবার একাধিক দাবিতে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবেন তিনি। তার আগে আজ মঙ্গলবার কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। আর সেখান থেকে অনুপ্রবেশ ইস্যুতে অমিত শাহকে জবাব দিতে গিয়ে এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিরই দুই সাংসদ অর্থাৎ অনন্ত মহারাজ এবং জগন্নাথ সরকারের বক্তব্যকেও হাতিয়ার করেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''গত কয়েকদিন আগেই রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজ বলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সবথেকে বড় অনুপ্রবেশকারী এবং পাকিস্তানি। দু'মাস আগে রানাঘাটের লোকসভার সাংসদ জগন্নাথবাবু ক্ষমতায় আসলে বর্ডার বলে কিছু থাকবেন না বলছেন। সেই বর্ডার সিকিউর করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে দায়ী করছেন অমিত শাহ।'' শুধু তাই নয়, এহেন মন্তব্যের পরেও দুই সাংসদকে বিজেপির তরফে কোনও শোকজ নোটিস দেওয়া হয়নি বলে মন্তব্য ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের। এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে দিল্লি বিস্ফোরণ, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার প্রসঙ্গ তুলেও বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন।
অভিষেক বলেন, ''বিহার নির্বাচনের চারদিন আগে দেশের রাজধানীতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার? জম্মু-কাশ্মীরে চারজন জঙ্গি ঢুকে ২৬ জনকে গুলি করে মারল। সেখানে পুলিশের দায়িত্বে কে আছে?'' প্রশ্ন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের। তাঁর কথায়, ''সীমান্তের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে বিএসএফ, যা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে। অন্যদিকে দিল্লি পুলিশ, জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে। ফলে এর দায় কার?'' আর এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়েই অমিত শাহকে দেশের ব্যর্থতম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলে তোপ দাগেন শাহ। বলেন, ''ভারতবর্ষ স্বাধীন হওয়ার পর সারা দেশের সবথেকে ব্যর্থতম এবং অপদার্থতম যদি কোনও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে থাকেন, তিনি অমিত শাহ।''
অন্যদিকে মতুয়াদের নাগরিকত্ব নিয়ে 'গাজর ঝোলানো' হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন সাংসদ। নাম না করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকেও আক্রমণ শানান। তিনি বলেন, ''মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেখিয়ে গাজর দেখিয়েছেন। এদিকে মতুয়াদের প্রতিনিধি, লোকসভার সাংসদ বলছেন, মতুয়াদের নাম বাদ গেলে বাদ যাবে।'' আর এটাই বিজেপির রাজনীতি বলেও কটাক্ষ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
