নিরুফা খাতুন: অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিতে বসেছিলেন আরেকজন! কিন্তু শেষরক্ষা হল না। হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় ওই ব্যক্তি। কলকাতা পুলিশের সাব ইনস্পেক্টরের নিয়োগ পরীক্ষায় চাঞ্চল্যকর ঘটনা।
জানা গিয়েছে, কলকাতা পুলিশের সাব ইনস্পেক্টরের পদে নিয়োগের পরীক্ষা ছিল। সেই পরীক্ষায় বসেন লখাই ঘোষ নামে এক ব্যক্তি। কিন্তু আদৌও লখাই আসল পরীক্ষার্থী নন! অ্যাডমিট কার্ড এবং সই মিলিয়ে দেখতেই ফাঁস হয়ে যায় গোটা চক্র। জানা যায়, আসল পরীক্ষার্থী ছিলেন আব্দুল খালেক। তাঁর হয়েই ইনস্পেক্টরের নিয়োগ পরীক্ষায় বসেন লখাই। তাঁর বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলায়। কিন্তু সবার নজর এড়িয়ে পরীক্ষাতে বসে গিয়েছিলেন লখাই। কিন্তু অ্যাডমিট কার্ডের ছবির সঙ্গে তাঁর মুখের মিল পাচ্ছিলেন না পরীক্ষক। এরপরেই সন্দেহ তৈরি হয়! অন্যান্য নথি যাচাই করে দেখা হয়।
সেখানেই ধরা পড়ে গরমিল! জানা যায়, নথিতে থাকা স্বাক্ষরের সঙ্গে লখাইয়ের স্বাক্ষর মিলছিল না। সঙ্গে সঙ্গে লখাইকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন পুলিশ আধিকারিকরা। এরপরেই সামনে আসে পুরো ঘটনা। ইতিমধ্যে লখাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানা যায়, আব্দুল খালেকের হয়ে পরীক্ষায় বসেছিলেন লখাই। আব্দুলের বাড়িও মুর্শিদাবাদে। সেই সূত্রেই দু'জনের আলাপ বলেও খবর।
বলে রাখা প্রয়োজন, এর আগে কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল পদের নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা ঘিরে কারচুপির অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুধু তাই নয়, পরীক্ষা কেন্দ্রে নকল পৌঁছে দেওয়ার অভিযোগে মোট ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে গাইঘাটা থানার পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে ব্লুটুথ ডিভাইস, ইলেকট্রনিক গ্যাজেট-সহ একাধিক আপত্তিকর সামগ্রী উদ্ধার হয়। শুধু তাই নয়, ঘটনার তদন্তে নেমে বড়সড় চক্রের খোঁজ পান তদন্তকারীরা।
