সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফের তুলকালাম। ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ল বিজেপির ছাত্র সংগঠন ABVP-র সদস্যরা। গেট থেকে বামেদের পতাকা ছুড়ে ফেলে দলীয় পতাকা ওড়াল তারা। সোমবার সন্ধের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কার্যত ব্য়র্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা। সবমিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ নম্বর গেট চত্বর রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামল র্যাফ।
যাদবপুর কাণ্ডে এদিন ফের রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। বিকেলেই যাদবপুর থানা মিছিলের ডাক দিয়েছিল বাম ছাত্র সংগঠনগুলি। গোলপার্ক থেকে পালটা মিছিল ছিল বিজেপির যুবমোর্চার। সন্ধ্যের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে মুখোমুখি হয় বাম ও বিজেপির ছাত্র সংগঠন। শুরু হয় স্লোগান। সেই সময় এবিভিপির সদস্যরা ক্য়াম্পাসে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে। তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়ে দু'পক্ষ। রীতিমতো কথা কাটাকাটি হয়। গেট বন্ধ করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন নিরাপত্তারক্ষীরা। কিন্তু কার্যত ব্যর্থ হন তাঁরা। সেই সময়ই বিজেপির এক সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে উঠে বামেদের পতাকা ছুড়ে ফেলে এবিভিপির পতাকা লাগিয়ে দেয়। ছিড়ে ফেলা হয় বামেদের পোস্টারও। সবমিলিয়ে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। ঘণ্টাখানেক এই পরিস্থিতি চলার পর বিশাল পুলিশ বাহিনী নামে। আসে র্যাফও।
গত শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবকুপার বার্ষিক সাধারণ সভা ছিল। অভিযোগ, ওইদিন সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অশান্তি তৈরির চেষ্টা শুরু করে বাম ছাত্ররা। ছাত্র সংসদ নির্বাচন-সহ একাধিক দাবিতে সুর চড়াতে থাকে তারা। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পৌঁছনোর আগে ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে একদল বাম ছাত্র। ওঠে স্লোগান। পালটা তাতে বাধা দেয় টিএমসিপি। দু’পক্ষের হাতাহাতি, ধস্তাধস্তি শুরু হয়। তারই মাঝে শুরু হয় ওয়েবকুপার বার্ষিক সাধারণ সভা। আচমকা সভাস্থলে পৌঁছে যায় বিক্ষোভকারীরা। তুমুল উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে থাকা তৃণমূলের শিক্ষাবন্ধু সমিতির অফিসেও ব্যাপক ভাঙচুর শুরু হয়। আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ব্রাত্য বসুর গাড়ির চাকার হাওয়াও খুলে দেওয়া হয়। ধাক্কাধাক্কিতে চোট পান খোদ শিক্ষামন্ত্রী। এদিকে মন্ত্রীর গাড়ির চাকায় এক ছাত্র আহত হন বলে অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগকে ভিত্তি করে বাংলায় বাম ছাত্র আন্দোলনের ‘মরা গাংয়ে’ এসএফআই ‘জোয়ার’ আনতে চাইছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। পালটা এই সুযোগে বাংলার ছাত্র আন্দোলনের মানচিত্রে নিজেদের ছাপ ফেলতে চাইছে বিজেপির যুবমোর্চাও।