সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরিকল্পনা ছিলই। রবীন্দ্রজয়ন্তীতে একেবারে ঠাকুরবাড়িতে এসেই কবিগুরুকে শ্রদ্ধা জানাবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। মঙ্গলবার তাই সারাদিনের কর্মসূচি নিয়ে বাংলার মাটিতেই রইলেন তিনি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে (Rabindranath Tagore)শ্রদ্ধা জানিয়ে দিনের শুরুটা করলেন অমিত শাহ।
বেলা ১১টা নাগাদ জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি পৌঁছে যান তিনি। সঙ্গে ছিল বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। জোড়াসাঁকো (Jorasanko) ঠাকুরবাড়িতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানান সকলে। ঠাকুরবাড়ির প্রাঙ্গণে কবিগুরুর বিশাল মূর্তিতে মাল্যদান করেন অমিত শাহ। তারপর ঠাকুরবাড়ি পরিদর্শন করেন।
একে বঙ্গ সফর, তার উপর বিশ্বকবির জন্মজয়ন্তী। পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাঙালিয়ানার ছোঁয়া রেখেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সাদা পাজামা-পাঞ্জাবির উপর লালমাটি রঙের জ্যাকেট, সঙ্গে বাটিক ও কাঁথাস্টিচের উত্তরীয়। পোশাকে একেবারেই সাবেকিয়ানা।
সঙ্গে থাকা নেতারাও অবশ্য তেমনই। সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, নিশীথ প্রামাণিক, দিলীপ ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পল, সকলেই এদিন ঠাকুরবাড়ির অনুষ্ঠানে অমিত শাহকে সঙ্গ দেন।
আগেই অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে ঘরে থাকতেন, যেসব আসবাব ব্যবহার করতেন, সেগুলি দেখতে চান। সেইমতো কবিগুরুর মূর্তিতে মাল্যদান করে প্রণাম করেন তিনি। তারপর ঠাকুরবাড়ি ঘুরে দেখেন। গ্যালারিতে থাকা বিভিন্ন ছবি দেখে তার বর্ণনা পড়েন শাহ। জানতে চান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মের সময় এবং তিথি। সেই মুহূর্তে এই তথ্য হাতে না থাকায় শাহ বলেন, সেসব জেনে তাঁকে জানাতে।
এরপর ভিজিটার্স বুকে কিছু লেখেন। এরপর তিনি বেরিয়ে যান জোড়াসাঁকো থেকে। গন্তব্য পেট্রাপোল (Petrapole) সীমান্ত। সেখানে একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।
জোড়াসাঁকো ঘুরে পেট্রাপোল সীমান্তে বিএসএফের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান অমিত শাহ। এরপর সন্ধ্য়ায় সায়েন্স সিটির সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি রাতে দিল্লি ফিরে যাবেন।