গৌতম ব্রহ্ম: গোটা কোভিড ওয়ার্ডজুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে চার ফুটের সাদা রোবট। যার মাথায় বসানো একটি ক্যামেরা লেন্স। ঠিক তার নিচে একটি স্ক্রিন। ডাক্তারের কাছ থেকে নাম জেনে নিয়েই রোগীর কাছে পৌঁছে যাচ্ছে সে। তারপর অডিও ও ভিজ্যুয়ালের মাধ্যমে রোগী ও চিকিৎসকের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করছে। এই ছবিই এবার ধরা পড়ল শহর কলকাতার এএমআরআই (AMRI) হাসপাতালে।
৫০ বেড বিশিষ্ট কোভিড ওয়ার্ডে আক্রান্ত এবং করোনা সন্দেহে ভরতি রোগীদের উপর নজরদারি চালাতেই এই বিশেষ ব্যবস্থা করেছে সল্টলেক আমরি। এবং শুরুতেই মিলেছে ইতিবাচক সাড়া। রোবটের মাধ্যমে নার্সও যেমন চিকিৎসককে রোগীর অবস্থা বিস্তারিত জানিয়ে দিতে পারছেন, তেমনই দূর থেকেই আক্রান্তকে দেখে নিচ্ছেন ডাক্তার। কোনও সমস্যা হলে রোগী নিজেই জানাচ্ছেন চিকিৎসককে। মাধ্যম সেই বোরট। যার পোশাকি নাম টেলি প্রেজেন্স রোবট। ওয়্যারলেস রোবটটি উচ্চতায় চার ফুট হওয়ায় রোগী বেডে শুয়ে থাকলেও চিকিৎসকের সঙ্গে কথোপকথনে কোনও অসুবিধা হচ্ছে না।
[আরও পড়ুন: কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ভিতরেই গণপিটুনিতে মৃত্যু ব্যক্তির, ধৃত ৩]
আমরির সিইও রূপক বরুয়া জানান, ডাক্তাররা আগের মতোই করোনা আক্রান্তদের দেখতে যাচ্ছেন। উপস্থিত থাকছেন নার্সও। তবে রোবটের মাধ্যমে রোগীদের উপর বাড়তি নজরদারি সম্ভব হচ্ছে। কারও কোনও সমস্যা রয়েছে কি না, কাছে না গিয়েও জেনে নেওয়া যাচ্ছে। এতে রোগীরাও যেমন উপকৃত হচ্ছেন, তেমনই চিকিৎসক ও নার্সদেরও কোভিড রোগীদের থেকে দূরে রাখা সম্ভব হচ্ছে। ফলে সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি অনেকটাই কমছে।
এর আগে দিল্লির এইমসে ওয়ার্ড পরিষ্কারের জন্য রোবটের ব্যবহার নজর কেড়েছিল। তারপর চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভেও রোগীদের খাবার-দাবার দেওয়া এবং তাঁদের খবর নেওয়ার দায়িত্বে ছিল রোবট। এবার করোনা আবহে কলকাতায় হাজির মার্কিন সংস্থার তৈরি টেলি প্রেজেন্স রোবট। রূপক বরুয়া বললেন, “সল্টলেকে এর ব্যবহার শুরু হয়েছে। আস্তে আস্তে কলকাতার অন্যান্য আমরি হাসপাতালেও এই পরিষেবা চালু করা হবে। এর মাধ্যমে ডাক্তার ও নার্সদের সংক্রমণের ঝুঁকিও যেমন কম থাকবে, তেমন রোগীদের উপর বেশি করে নজরও রাখা যাবে। আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল এটি প্রয়োজনে মোবাইল থেকেও অপারেট করা যাবে।”
[আরও পড়ুন: ‘কাল দুপুর থেকে পরশু সকাল পর্যন্ত ঘরেই থাকুন’, আমফান নিয়ে সতর্কবার্তা মমতার]
The post ডাক্তার ও নার্সদের সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে নয়া উদ্যোগ, আমরির করোনা ওয়ার্ডে ঘুরছে রোবট appeared first on Sangbad Pratidin.