অর্ণব আইচ: কালীপুজোর আগে হাতে মাত্র আর একদিন। স্বাভাবিকভাবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মূর্তি নিতে কালীঘাটের পড়ুয়াপাড়ার বিখ্যাত মৃৎশিল্পী রাজীব পালের বাড়িতে আনাগোনা শুরু হয়েছে পুজো উদ্যোক্তাদের। কিন্তু সকলের একটাই প্রশ্ন মূর্তি দেবে কে? কারণ, মূর্তি তৈরির কাজ শেষে ভোররাতে ঘুমোতে যাওয়ার পরই আগুনের লেলিহান শিখায় দগ্ধ হয়েছেন রাজীববাবু। আগুন গ্রাস করেছে তাঁর পিসিকে। ফলে এই পরিস্থিতিতে প্রতিমার কী হবে তার কূলকিনারা পাচ্ছেন না কমিটির সদস্যরা।
কালীঘাটের (Kalighat) পটুয়াপাড়ার রাজীব পালকে একডাকে চেনে সকলে। বাবা গোবিন্দ পালের মৃত্যুর পর থেকে মূর্তি তৈরিই তাঁর পেশা এবং নেশা। সারা বছরই মূর্তি তৈরিতে ব্যস্ত থাকেন তিনি। এবারও অন্যথা হয়নি। জানা গিয়েছে, এবছর কালীপুজোয় পঞ্চাশটি প্রতিমার অর্ডার পেয়েছিলেন তিনি। সেই মতোই চলছিল কাজ। বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করেন তিনি। এরপর ঘুমোতে যান দোতলার ঘরে। ঘুম ভাঙে ধোঁয়ায়। ততক্ষণে দাউদাউ করে জ্বলতে শুরু করেছে চারপাশ। অর্ধদগ্ধ রাজীববাবুকে উদ্ধার করেন প্রতিবেশীরা । পাঠানো হয় হাসপাতালে।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, তপসিয়া অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাকা বাড়ি বানিয়ে দেবে পুরসভা
স্থানীয় সূত্রে খবর, পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে রাজীবের স্টুডিও। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২ টি প্রতিমা। তবে বাইরে থাকায় বাকি প্রতিমার কোনও ক্ষতি হয়নি। কিন্তু এই ঘটনায় প্রবল সমস্যার মুখে পুজো উদ্যোক্তারা। কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা। কারণ, প্রতিমা দেওয়ার লোকই তো নেই। আবার কোনও প্রতিমায় এখনও শিল্পীর হাতের শেষ ছোঁয়া পড়া বাকি। দমকল সূত্রে খবর, সম্ভবত গ্যাস লিকের কারণেই কালীপুজোর মুখে এহেন ভয়ংকর কাণ্ড। যদিও আগুনের নেপথ্যের কারণ নিয়ে এখনও নিশ্চিত নন কেউ। কালীপুজোর (KaliPuja 2020) আগে এহেন স্বাভাবিকভাবেই ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
ছবি: অরিজিৎ সাহা