রাহুল রায়: অভিষেকের শ্যালিকা অর্থাৎ মেনকা গম্ভীরকে (Menoka Gambhir) কলকাতা বিমানবন্দরে আটকানো অনিচ্ছাকৃত ভুল, আদালত অবমাননা নয়। কলকাতা হাই কোর্টে আদালত অবমাননার মামলার শুনানিতে এমনই দাবি করলেন ইডির আইনজীবী। দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর রায়দান স্থগিত রেখেছেন বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য। শুক্রবার মামলার রায়দান।
ব্যাংকক যাওয়ার পথে ৩০ আগস্ট কলকাতা বিমানবন্দরে মেনকা গম্ভীরকে আটকানো হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয় হাই কোর্টে। সেই মামলার শুনানিতে এদিন ইডির আইনজীবী জানান, “যদি মেনকা গম্ভীরকে বিমান বন্দরে আটক করা হয়ে থাকে, তাহলে সেটা ঠিক হয়নি। কিন্তু এটা ইচ্ছাকৃত নয়। তাই এটা আদালত অবমাননার নয়। হয়রানি হতে পারে।” যদিও ইডির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে অনড় মেনকার গম্ভীরের আইনজীবী।
[আরও পড়ুন: কপালে গুলি মন্তব্য: অভিষেকের বিরুদ্ধে FIR করতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ সুকান্ত]
প্রসঙ্গত, কয়লা পাচার কাণ্ডে (Coal Scam) ইডির নজরে অভিষেকের স্ত্রী ও শ্যালিকার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের লেনদেন। সেই কারণেই অভিষেকপত্নী রুজিরা ও শ্যালিকা মেনকাকে একাধিকবার তলব করা হয়েছে। এর আগে নোটিসে দপ্তরের ছাপার ভুলে রাত ১২.৩০এ ইডি দপ্তরে মেনকা গম্ভীরকে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়। তিনিও মাঝরাতেই গিয়েছিলেন হাজিরা থেকে। পরে নিজেদের ভুল স্বীকার করে দুপুরে ফের তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সন্ধের পর তিনি ইডি অফিস থেকে বেরিয়ে হাই কোর্টে ইডির আদালত অবমাননা নিয়ে মামলা দায়ের করেন মেনকা। তারই শুনানি চলছিল।
বিচারপতি আগেই জানিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট অবমাননাকারীদের বক্তব্য না শুনে কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেবেন না। মেনকার আইনজীবীকে তিনি প্রশ্ন করেন, “বিমানবন্দরে আটকানো বা রাতে ইডি দপ্তরে ডেকে পাঠানো কীভাবে কড়া পদক্ষেপ হতে পারে? এটা হয়রানি হতে পারে।” আইনজীবী পালটা জানান, “আমার মক্কেলের মা অসুস্থ, তাঁকে ফের ব্যাংকক (Bangkok) যেতে হতে পারে এবং তাঁকে ফের আটকানো হতে পারে।” এই মামলার রায়দান শুক্রবার।