বিধান নস্কর, দমদম: দাবিমতো টাকা দিতে না পারায় মারধর করা হয়েছিল তাঁকে। ওই ঘটনার পর প্রায় ২০ দিন কেটে গেলেও অধরা তৃণমূল কাউন্সিলর। আতঙ্কে দিন কাটছে বাগুইআটির প্রোমোটারের। তারই মাঝে এবার হুমকি। বারাসত আদালত চত্বরে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয় বলেই অভিযোগ। তাই বাধ্য হয়ে বারাসত থানার দ্বারস্থ বাগুইআটির আক্রান্ত প্রোমোটার।
বিধাননগর পুরনিগমের বৈধ অনুমতিতে প্রোমোটার কিশোর হালদার নিজের জমিতে বহুতল তৈরি করছেন। তাঁর অভিযোগ, তা সত্ত্বে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সমরেশ চক্রবর্তী তাঁর কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা তোলা চান। প্রথমবার কাউন্সিলরকে ৩ লক্ষ টাকা দেন বলেই দাবি ব্যবসায়ীর। তবে প্রতিদিনই দাবিদাওয়া বাড়তে থাকে। টাকা দিতে পারছিলেন না প্রোমোটার। আর সে কারণে গত ১৬ ডিসেম্বর, কাউন্সিলরের অনুগামী হিসাবেই পরিচিত ছাত্রনেতা গোবিন্দ দাস, শুভেন্দু ওরফে বাবাই-সহ কমপক্ষে ৪০ জন প্রোমোটারের উপর চড়াও হয়। অভিযোগ, প্রথমে টাকাপয়সা নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয় দুপক্ষের। তবে তা সত্ত্বেও টাকা দিতে অস্বীকার করেন প্রোমোটার। এরপর আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে মারধর করা হয় প্রোমোটারকে। মাথা ফেটে যায় তাঁর। গলগল করে রক্ত বেরতে শুরু করে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন প্রোমোটার ও তাঁর পরিবারের লোকজন। আইনি সাহায্যের আশায় বাগুইআটি থানার দ্বারস্থ হন প্রোমোটার। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে এখনও অধরা কাউন্সিলর।
মারধরের ঘটনায় দুই অভিযুক্ত শুভেন্দু ও রমেন মণ্ডলকে শুক্রবার বারাসাত আদালতে তোলা হয়। ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। আদালত চত্বরে উপস্থিত ছিলেন প্রোমোটার কিশোর হালদার। অভিযোগ, তাঁকে উদ্দেশ্য করে ধৃতরা গালিগালাজ করে। এমনকি তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। সেই ঘটনায় আতঙ্কিত প্রোমোটার ও তাঁর পরিবার। আদালত চত্বরে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত প্রোমোটার এবং তাঁর পরিবারের লোকজন। বাধ্য হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।