বিধান নস্কর, বাগুইআটি: কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ প্রোমোটার। ইমেল মারফত দায়ের অভিযোগ। রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার ও বিধাননগর পুরসভার মেয়র কৃষ্ণ চক্রবর্তীকেও ইমেল করে অভিযোগ জানানো হয়েছে। তবে এখনও বেপাত্তা অভিযুক্ত কাউন্সিলর। তাঁর খোঁজ না পেয়ে বাড়িতে নোটিস টাঙিয়েছে বাগুইআটি থানার পুলিশ।
বিধাননগর পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে নির্মাণকাজ করছিলেন প্রোমোটার কিশোর হালদার। রবিবার সেখানেই প্রোমোটারের ওপর হামলায় চালায় একদল দুষ্কৃতী। রিভলভারের বাট দিয়ে মেরে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় রবিবার রাতেই রমেন মণ্ডল ও শুভেন্দু মণ্ডল নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে বাগুইআটি (Baguiati ) থানার পুলিশ। প্রোমোটারকে মারধর ঘটনায় স্থানীয় কাউন্সিলর সমরেশ চক্রবর্তীর মদত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ, দাবি মতো টাকা না দেওয়ায় লোক পাঠিয়ে প্রোমোটারকে মারধর করেন কাউন্সিলর। অভিযোগের পর থেকে কাউন্সিলরেরও খোঁজ মিলছে না। তাঁর খোঁজে সোমবার কাউন্সিলরের বাড়ি-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। সূত্রের খবর, শুধুমাত্র কাউন্সিলরের উত্তর দেশবন্ধু নগরের বাড়িতে একাধিকবার আসে পুলিশ। সেখানে কাউন্সিলরের দেখা মেলেনি। তবে তাঁর স্ত্রী বাড়িতে রয়েছেন। কাউন্সিলরের মোবাইল ফোনেও বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে পুলিশ। কিন্তু, ফোনেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। অবশেষে বাগুইআটি থানার পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁর বাড়ির দেওয়ালে নোটিস লাগিয়ে দেওয়া হল। তাঁকে বাগুইআটি থানায় দেখা করার কথা বলা হয়েছে। এর পর রাতে কিশোর হালদার মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং বিধাননগর পুরসভার মেয়রের কাছে ইমেল মারফত অভিযোগ জানানো হয়।
এদিকে প্রোমোটারের উপর হামলার ঘটনায় রাজারহাট গোপালপুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা গোবিন্দ দাসেরও নাম জড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, তাঁর বাড়ি এবং অফিসে যায় পুলিশ। কিন্তু বাড়ি ও অফিস দুটিই বন্ধ থাকায় ফিরে আসে পুলিশ।