রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: শিয়রে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Election)। তার আগে সংগঠন শক্তিশালী করার চেষ্টায় ত্রুটি রাখছে না কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কিন্তু বঙ্গের গেরুয়া ব্রিগেডের পরিস্থিতি ঠিক উলটো। বরং দুর্বল থেকে দুর্বলতর হচ্ছে সংগঠন। রবিবার আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল দলবদল করে তৃণমূলে (TMC) যোগ দিয়েছেন আনুষ্ঠানিকভাবে। আর তারপরই কেন এই ভাঙন, তা জানতে চেয়ে বঙ্গ বিজেপির রিপোর্ট তলব করল বিজেপি (BJP) কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
সুমন কাঞ্জিলালের দলবদলের পরই বঙ্গ বিজেপিতে শুরু হয়ে গিয়েছে নানা কথাবার্তা। মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলছেন, এতে দলে তেমন কোনও প্রভাব পড়বে না। আবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) টুইট করে সুমনবাবুকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ তকমা দিচ্ছেন। তাঁর দাবি, আলিপুরদুয়ারের বিধায়ককে মানুষের কাছে ব্যাখ্যা দিতে হবে, কেন তিনি বিজেপির টিকিটে জিতে জনপ্রতিনিধি হওয়ার পর এভাবে দল ছাড়লেন। যেখানে বিজেপি তৃণমূল সরকারের ‘দুর্নীতি’র বিরুদ্ধে বড় লড়াই চালাচ্ছে, সেখানে কীভাবে সুমনববাবু বিশ্বাসঘাতকতা করলেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু।
[আরও পডুন: কখনও স্কুল শিক্ষক, কখনও অধ্যাপক! ‘ভুয়ো’ পরিচয় দিয়ে বিপাকে বর্ধমানের বিজেপি নেতা]
তাঁর এই দাবির জবাব দিয়ে পালটা টুইট করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তাঁর বক্তব্য, ”সুমন কাঞ্জিলালকে মানুষের দরবারে জবাব দেওয়ার কথা বলার আগে, আপনি নিজের ঘরের দিকে তাকান। নিজের বাবা আর ভাইকে দেখুন। স্বীকার করে নিন যে বিজেপির উপর নিজেদের দলের বিধায়কদেরই কোনও ভরসা নেই।” সবমিলিয়ে সুমন কাঞ্জিলালের দলবদল একদিকে যেমন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে চাপে ফেলেছে, তেমনি রাজনৈতিক তরজাও জমে উঠেছে।