সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) 'চ্যাংদোলা' মন্তব্যের পালটা দিয়ে দিয়েছেন হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। ভরতপুরের বিধায়কের সেই 'ঠুসে দেব' মন্তব্য ঘিরে বৃহস্পতিবার ফের উত্তাল হল বিধানসভা (West Bengal Assembly)। তর্কবিতর্কের মাঝেই ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভার গেটে প্ল্য়াকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। এদিকে, শর্ত মানলে বিজেপি বিধায়কদের বিধানসভার কার্যবিবরণী দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

মঙ্গল, বুধের পর বৃহস্পতিবারও উত্তাল হয়ে উঠল অধিবেশন কক্ষ। মঙ্গলবার মুসলিম বিধায়কদের 'চ্যাংদোলা' করে ফেলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পালটা দেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। বলেন, 'আমাকে মারতে এলে ঠুসে দেব।' এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এদিন আলোচনা করতে চেয়েছিলেন বিজেপি বিধায়করা। কিন্তু অনুমতি দেননি স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতেই মেজাজ হারান শংকর ঘোষ-সহ বিজেপি বিধায়করা। বেরিয়ে পড়েন অধিবেশন কক্ষ থেকে। এদিন ফের অধ্যক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন। বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে হুমায়ুনকে, অন্যথায় পদক্ষেপ করা হবে। যদিও এই হুঁশিয়ারিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ হুমায়ুন। নিজের অবস্থানে অনড় তিনি। বলেন, "ক্ষমতা থাকলে মুর্শিদাবাদে ঢুকুন।"
উল্লেখ্য, সম্প্রতি অধিবেশন কক্ষে কাগড় ছিঁড়ে প্রতিবাদ জানান বিজেপি বিধায়করা। তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে পদ্মশিবিরের বিধায়কদের বিধানসভার কার্যবিবরণী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অধ্যক্ষ। তার প্রতিবাদে শুভেন্দু বলেছিলেন, "এটা গণতন্ত্র হতে পারে না। বিজেপি বিধায়করা কাগজ পাবেন না! অধ্যক্ষ দলের নেতার মতো আচরণ করছেন।" পরবর্তীতে বাড়ি থেকে কাগজ এনে ছিঁড়বেন বলেও মন্তব্য করেছিলেন। তারপর বুধবার ফের কাগজ ছিঁড়ে প্রতিবাদ করেন বিজেপি বিধায়করা। এসবের মাঝেই অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কার্যবিরবণী দেওয়া হবে গেরুয়া বিধায়কদেরও। তবে বিধানসভার নিয়ম মানতে হবে।