অর্ণব আইচ: সাতসকালে তরুণীর বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল খাস কলকাতার (Kolkata) এমএমআলি রোডে। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। কী কারণে এই পরিণতি তরুণীর? সে বিষয়ে এখনও সম্পূর্ণ অন্ধকারে পুলিশ।
বৃহ্স্পতিবার সকালে একবালপুর (Ekbalpur) থানা এলাকার এমএম আলি রোডে কাগজ কুড়োনোর সময় একটি বস্তা নজরে পড়ে বেশ কয়েকজনের। সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা বস্তাটি খুলতেই মেলে তরুণীর দেহে। স্বাভাবিকভাবেই এহেন ঘটনায় ভয় পেয়ে যান সকলে। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় একবালপুর থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে পাঠায় ময়নাতদন্তে। পুলিশ জানিয়েছে, তরুণীর গলায় মিলেছে আঘাতের চিহ্ন।
[আরও পড়ুন: খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করে বাংলায় নির্বাচনী দামামা বাজিয়ে দিল কমিশন]
জানা গিয়েছে, মৃতার নাম সাবা খাতুন। ওয়াটগঞ্জে দিদিমার কাছে থাকতেন তিনি। বেশ কিছুদিন ধরে রেশমা নামে এক বান্ধবীর সঙ্গে থাকতে শুরু করেছিলেন সাবা। রেশমা মাদক্তাসক্ত। বহু লোকের আনাগোনা ছিল তাঁর কাছে। তবে কি ঘটনার নেপথ্য যোগ রয়েছে রেশমার? হঠাৎ কেনই বা তাঁর সঙ্গে থাকতে শুরু করেছিল সাবা? কার সঙ্গে কী নিয়ে অশান্তির জেরে এই পরিণতি? কোথায়ই বা খুন করা হয়েছে তাঁকে? এসব একাধিক প্রশ্নের উত্তরের সন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ অনুমান করেছিল যে অন্যকোথাও খুনের পর প্রমাণ লোপাটের জন্য বস্তায় ভরে সাবার দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছিল ওই এলাকায়। তবে উঠে আসছে অন্য সন্দেহ। তদন্তকারীদের কথায়, প্রাথমিকভাবে দেখে মনে হচ্ছে আত্মঘাতী হয়েছে তরুণী। তবে কি আত্মহত্যার পর তরুণীর দেহ বস্তায় ভরে ফেলে দিয়ে যায় কেউ? উত্তর অজানা।