shono
Advertisement
Bratya Basu

আদালতে বাঁচল ৩২ হাজারের চাকরি, ব্রাত্য বলছেন, 'এবার SSC-র যোগ্য চাকরিহারাদের...'

হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের পর পর্ষদ সভাপতিকে পাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী।
Published By: Sayani SenPosted: 05:03 PM Dec 03, 2025Updated: 05:47 PM Dec 03, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুতোয় ঝুলছিল ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের ভাগ্য। যদিও বুধবারই চাকরি বাতিলের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ খারিজ করেছে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এবার লক্ষ্য SSC। 'যোগ্য' চাকরিহারাদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়াই লক্ষ্য। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালকে পাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে একথাই বলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)।

Advertisement

তিনি বলেন, "আমাদের এখন কাজ SSC-র যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষকরা যাতে স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতার সঙ্গে চাকরি ফিরে পান, তা সুনিশ্চিত করা। গত ৫ বছর ধরে আমাদের দপ্তর সঙ্গে কোর্ট, কাছারি, বিরোধীদের আক্রমণ নিয়ে কাজ করেছে। প্রাথমিকের পর এসএসসির যোগ্য চাকরিহারাদের হাতে যদি নিয়োগপত্র তুলে দিতে পারি তাহলে আমাদের বৃত্ত সম্পূর্ণ হবে। তাহলে খুব নিশ্চিন্ত মনে আমাদের রাজনৈতিক দল আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে।" অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিচারপতি থাকাকালীন ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি খারিজের নির্দেশ দিয়েছিলেন। ব্রাত্যর মত, "অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় পক্ষপাতদুষ্ট কিনা, তা মানুষ বিচার করবে।"

প্রাথমিক টেটের চাকরি বহালের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ভাবনা মামলাকারীদের একাংশের। সে প্রসঙ্গে ব্রাত্য বলেন, "আদালতে যাওয়ার অধিকার সকলের আছে। কেবল সংকীর্ণ রাজনৈতিক দিক থেকে সব কিছু ভাবা উচিত নয়। কারণ, যাঁরা চাকরি পেলেন তাঁরাও বাংলারই ছেলে।" তিনি আরও বলেন, "কী মিথ্যা, কী সত্য হল বলতে পারব না। তবে যাঁরা মানসিক যন্ত্রণায় ছিলেন তাঁরা মাথা উঁচু করে সর্বত্র যেতে পারবেন তাতেই খুশি।" হাই কোর্টের রায়ে উচ্ছ্বসিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। 

বলে রাখা ভালো, ২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে ২০১৬ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। ২০২৩ সালের মে মাসে তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে চাকরি বাতিলের পরও তাঁদের কর্মরত থাকতে বলা হয়। বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছিলেন, তিন মাসের মধ্যে রাজ্যকে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। তাতে যোগ্য ও উত্তীর্ণ প্রার্থীদের চাকরি বহাল থাকবে। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় পর্ষদ। তৎকালীন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতীম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। গত ১২ নভেম্বর মামলাটির শুনানি শেষ হয়। রায়দান স্থগিত ছিল। বুধবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রত কুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ রায়দান করে। প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ খারিজ করে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরি বাতিল নয়। স্বপদে বহাল রইলেন প্রত্যেকে। আদালতের রায়ে স্বস্তিতে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ খারিজ করেছে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
  • এবার লক্ষ্য SSC। 'যোগ্য' চাকরিহারাদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়াই লক্ষ্য।
  • প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালকে পাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে একথাই বলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
Advertisement