সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেজে উঠছে থিমের শহর। কতই না কারুকাজ। কতই ভাবনা-চিন্তা, কল্পনা-পরিকল্পনা। কিন্তু সেই ঠাকুরদালান কই? কই সে শিউলি ফুলের গন্ধ? মাটির সোঁদা গন্ধ? উত্তর মিলবে বর্ধমানের মেমারির দত্ত পাড়ার লাহা বাড়িতে। সাবেকিয়ানার দালানে যেখানে আজও একচালায় সেজে ওঠেন উমা।
[পুজোয় ‘সেলফি’র ফাঁদ কেটে বেরনোর ডাক এসবি পার্ক সর্বজনীনে]
২০০ বছরের প্রাচীন এ পুজো শুরু হয়েছিল মায়েরই স্বপ্নাদেশে। স্বর্গীয় মাখনলাল লাহাকে স্বপ্নে দেখা দিয়েছিলেন দেবী দুর্গা। কথিত আছে, স্বপ্নেই মা’কে প্রতিষ্ঠা করার আদেশ পান তিনি। তখন অবস্থা খুব একটা ভাল ছিল না মাখনলালের। তবুও নারকেল ও ডাব বিক্রি করে পয়সা জমান তিনি। ঘটে পটে দেন মায়ের পুজো। এরপরই লাহা পরিবারের অবস্থা ফেরে। বাড়িতে প্রতিষ্ঠা করা হয় দুর্গা মন্দির। প্রথমে খড় দিয়ে তৈরি হয়েছিল দুর্গাদালান। পরে তৈরি হয় মাটি দিয়ে। আর এখন পাকাদালানেই একচালায় দেবীর মূর্তি গড়ে হয় মায়ের পুজো। গঙ্গাজল দিয়েই হয় ঘট প্রতিষ্ঠা।
[কুমোরটুলিতে এবার টাকা না দিলে মুখ দেখাবে না দুর্গাও]
দুর্গামন্দিরের কাছে একটি শিউলি গাছ পুঁতেছিলেন স্বর্গীয় মাখনলাল লাহা। আজও রয়েছে সেই গাছ। প্রাচীন এই গাছের শিউলি ফুলে দিয়েই দেবীকে অর্ঘ দেওয়া হয়। বৈষ্ণব মতেই পুজো হয় এখানে। তাই বলি দেওয়ার প্রথা নেই। আগে বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা বাড়িতে কামানদাগা হলে সেই আওয়াজ শুনে সন্ধি পুজো শুরু হত। যদিও এখন আর তা হয় না। নির্ঘণ্ট মেনে সন্ধি পুজো হয়। দশমীতে সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন মহিলারা। তার পর লাহা বাড়ির পারিবারিক পুকুরেই হয় মায়ের বিসর্জন।
কীভাবে যাবেন – ট্রেনের মাধ্যমে গেলে নামতে হবে মেমারি স্টেশনে। সেখান থেকে মেমারি রসিকলাল স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয়ের দিকে যেতে হবে। যাওয়ার পথেই পড়বে দত্ত পাড়ার লাহা বাড়ি।
[পুজোয় পুরনো কলকাতার বাবুয়ানিতে মজবে চক্রবেড়িয়া সর্বজনীন]
The post ২০০ বছরের পুরনো শিউলি গাছের ফুলে আজও পূজিত হন লাহা বাড়ির দেবী appeared first on Sangbad Pratidin.
