সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতা হাই কোর্টের রায়ে স্বস্তিতে ছত্রধর মাহাতো (Chhatradhar Mahato)। ছত্রধরকে হেফাজতে চেয়ে এনআইএ (NIA) যে আবেদন করেছিল, তা খারিজ করে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। তবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী ২৪ তারিখ পর্যন্ত রাজ্যের বাইরে যেতে পারবেন না ছত্রধর। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৪ মার্চ।
২০০৯ সালে রাজধানী এক্সপ্রেস অপহরণ এবং ২০০৭ সালে লালগড়ে সিপিআইএম নেতা প্রবীর মাহাতো খুনের ঘটনায় দীর্ঘ সময় পর তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ। এরপর ছাত্রধরকে কয়েক দফায় জেরাও করেন তদন্তকারীরা। এরপর তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে বিশেষ আদালতের দ্বারস্থ হয় এনআইএ। গত ২২ অক্টোবর এনআইএ-এর বিশেষ আদালত নির্দেশ দেয়, যেহেতু ঝাড়গ্রাম নিম্ন আদালত এই মামলায় ছত্রধর-সহ অন্য অভিযুক্তদের জামিন মঞ্জুর করেছিল, তাই ছত্রধর মাহাতো এবং বাকি পাঁচ অভিযুক্তের জামিন খারিজের জন্য এনআইএ-কে সেখানেই আবেদন করতে হবে। এরপরই ছত্রধরকে হেফাজতে চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় তদন্তকারী সংস্থা।
[আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শুক্রবারই রাজ্যে আসছেন বিশেষ পর্যবেক্ষক ও পুলিশ পর্যবেক্ষক]
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানিতে ছত্রধরের আইনজীবী দেবাশিস রায় আদালতে মামলার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ২০০৭ সালে সিপিআইএম নেতা প্রবীর মাহাতো খুন হন। তাঁদের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালে ৩০২ ধারায় খুন এবং দেশদ্রোহের মামলা দায়ের করা হয়। যার সর্বোচ্চ সাজা আমৃত্যু কারাবাস। ১৩ বছর বাদে ছত্রধর মাহাতো-সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারা যোগ করার যৌক্তিকতা কোথায়? অন্যদিকে এনআইএ-এর আইনজীবী দাবি করেন, এনআইএ আইন অনুযায়ী তাদের দায়ের করা মামলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চলতে পারে না। হয় তা চলবে এনআইএ বিশেষ আদালতে বা হাই কোর্টে। হাই কোর্ট অবিলম্বে ছত্রধর মাহাতোর জামিন খারিজ করুক। দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে নিম্ন আদালতে সমস্ত নথি চেয়ে পাঠায় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। পরে এনআইএর আবেদন খারিজ করল আদালত।