শুভঙ্কর বসু: ভবানীপুর উপনির্বাচন (Bhabanipur By-Election) নিয়ে জনস্বার্থ মামলার দ্রুত শুনানির আরজি খারিজ। সোমবার মামলার শুনানি চলাকালীন কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মামলাকারীকে প্রশ্ন করেন, বিজ্ঞপ্তির এত পরে কেন মামলা? কেন আগে আসেননি? এই প্রশ্ন তুলে দ্রুত শুনানির আবেদন খারিজ করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২০ সেপ্টেম্বর।
কোভিড (Covid 19) পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে উপনির্বাচন করানো হোক, এমন দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল (TMC)। তারপর কমিশনকে চিঠি দেন মুখ্যসচিবও। এরপরই মুর্শিবাদের দুই কেন্দ্র জঙ্গিপুর, সামসেরগঞ্জে নির্বাচন এবং ভবানীপুরে উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে কমিশন।শুধুমাত্র ভবানীপুরে কেন উপনির্বাচন হচ্ছে, এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। সেই উপনির্বাচন নিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয় কলকাতা হাই কোর্টে। হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, আইনজীবী বিজেপি ঘনিষ্ঠ।
[আরও পড়ুন: স্ত্রীর দ্বিতীয় বিয়েতে আপত্তি, প্রতিশোধ নিতে যৌনাঙ্গে বাঁশ ঢুকিয়ে শাশুড়িকে খুন জামাইয়ের]
রাজ্যে একাধিক আসনে উপনির্বাচনের প্রয়োজন হওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র ভবানীপুর নিয়ে কেন চিঠি দিলেন মুখ্যসচিব? কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তা কি মুখ্যসচিব ঠিক করতে পারেন? এই প্রশ্ন তোলেন মামলাকারী। ওই মামলার দ্রুত শুনানির আরজি জানান মামলাকারী। সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল মামলার দ্রুত শুনানির আরজি খারিজ করে দেন। তিনি জানান, সাধারণ নির্বাচন এবং উপনির্বাচন এক নয়। এছাড়াও প্রশ্ন করেন, বিজ্ঞপ্তির এত পরে কেন মামলা? কেন আগে আসেননি? আগামী ২০ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।
উল্লেখ্য, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন। সেখানে তৃণমূল প্রার্থী খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিপিএমের হয়ে লড়ছেন শ্রীজীব বিশ্বাস। ওই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। দু’জনেই সোমবার আলিপুর সার্ভে বিল্ডিংয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দেন। এর আগে গণেশ চতুর্থীর দিনই মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।