বিধান নস্কর, সল্টলেক: সিবিআই তদন্তকারীদের দলে কারা রয়েছেন? কী নাম তাঁদের? কেনই বা তৃণমূল কাউন্সিলের বাড়িতে হানা? নানা তথ্যের খোঁজে বিধাননগর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে বাগুইহাটি থানার পুলিশ। কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা।
ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল ৯টা ১০ মিনিট হবে। লক্ষ্মীবারে তৃণমূল বিধায়ক অদিতি মুন্সির জ্যাংরার বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। তার কিছুক্ষণের মধ্যে বাগুইহাটি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। থানার আইসি কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে কথা বলে। পুলিশ সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গেও কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলে। ঠিক কী কারণে কাউন্সিলরের বাড়িতে সিবিআই হানা, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কোন কোন আধিকারিক প্রতিনিধি দলে রয়েছেন, সেই খোঁজখবর নেওয়া হয়। সিবিআইয়ের সঙ্গে কথা বলার পর কাউন্সিলরের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন আইসি। কাউন্সিলরের বাড়ির নিরাপত্তায় নজর রেখেছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: তৃণমূল বিধায়ক ও ২ কাউন্সিলরের বাড়িতে CBI, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে জোর তল্লাশি]
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সাল থেকে বিধাননগর পুরসভার কাউন্সিলর দেবরাজ। এর পর তৃণমূল ছেড়ে হাত শিবিরে হাত মেলান তিনি। পরে আবারও ঘাসফুল শিবিরে প্রত্যাবর্তন। বর্তমানে তিনি বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ। ২০১৮ সালে কীর্তন শিল্পী অদিতি মুন্সির সঙ্গে চার হাত এক হয় তাঁর। ২০২১ সালে ভোটযুদ্ধে তৃণমূলের সৈনিক ছিলেন অদিতি মুন্সি। রাজারহাট-গোপালপুর থেকে ভোট লড়েন জেতেন তিনি। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় বিধায়ক অদিতির স্বামী সিবিআই স্ক্যানারে চলে আসে। সেই সময় দেবরাজকে তলব করেছিল সিবিআই। তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছিলেন কাউন্সিলর দেবরাজ। বৃহস্পতিবার তাঁর বাড়িতে ফের সিবিআই হানা। এবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।