সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুবভারতীতে ভাঙচুরের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে একগুচ্ছ শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করল রাজ্য। প্রথমেই শোকজ করা হয়েছে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে। সেই সঙ্গে শোকজ করা হয়েছে বিধাননগরের কমিশনার মুকেশ কুমার, যুবকল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরের সচিব রাজেশ কুমার সিনহাকে। সাসপেন্ড করা হয়েছে বিধানগরের ডিসি অনীশ সরকারকে। বরখাস্ত করা হয়েছে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের সিইও দেবকুমার নন্দনকেও। তদন্ত কমিটির সুপারিশ মেনে সিট গঠন করা হয়েছে।
লিওনেল মেসির সফরকে ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন (Chaos at Yuba Bharati)। আর্জেন্টাইন মহাতারকা মাঠ ছাড়তেই গ্যালারি থেকে বোতল ছোড়া হয়, ভেঙে ফেলা হয় ব্যানার। তারপর ব্যারিকেড ভেঙে মাঠে ঢুকে রীতিমতো তাণ্ডব চালায় উন্মত্ত জনতা। সঙ্গে সঙ্গে কলকাতা ছাড়েন মেসি। গোটা ঘটনায় মেসির কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই সঙ্গেই ঘটনার অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীমকুমার রায়ের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন।
কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই একঝাঁক আধিকারিকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করল রাজ্য। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজীব কুমারকে শোকজ নোটিসের জবাব দিতে হবে। একদিনের মধ্যে শোকজের নোটিসের উত্তর দিতে হবে বিধাননগর পুলিশের কমিশনার মুকেশ কুমারকেও। ডিসিপি অনীশ সরকারে বিরুদ্ধে চলবে বিভাগীয় তদন্ত, ততদিন পর্যন্ত সাসপেন্ড থাকবেন তিনি। ক্রীড়াদপ্তরের সচিব রাজেশ কুমার সিনহাকেও শোকজ করা হয়েছে। যুবভারতীর দায়িত্বে থাকা অবসরপ্রাপ্ত আমলা দেবকুমার নন্দনকেও বরখাস্ত করা হয়েছে।
অসীমকুমার রায়ের নেতৃত্বাধীন কমিটি প্রশ্ন তুলেছিল পুলিশ এবং ক্রীড়া দপ্তরের ভূমিকা নিয়ে। সেই সুপারিশ মেনেই পদক্ষেপ করল রাজ্য। সেই সঙ্গে চার সদস্যের সিটও গঠন করা হয়েছে। রয়েছেন এডিজি জাভেদ শামিম, দক্ষিণবঙ্গের ডিজি সুপ্রতিম সরকার, কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মা এবং আইপিএস পীযূষ পাণ্ডে। উল্লেখ্য, যুবভারতীতে ভাঙচুরের পরেই গ্রেপ্তার করা হয় অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তকে। আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে বিধাননগর পুলিশ। শনিবার যুবভারতীতে যে বিভিন্ন সংস্থা দায়িত্বে ছিল, তলব করা হয়েছে সেই সংস্থার প্রতিনিধিদেরও।
