ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: আতঙ্ক নয়, সতর্ক থাকুন। অ্যাডিনো ভাইরাসের চরিত্র বদল হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে স্বাস্থ্যভবন। এর মাঝেই বি সি রায় শিশু হাসপাতাল থেকে এক শিশুর মৃত্যুর মিলেছে। আরও ১০ খুদে ভেন্টিলেশনে রয়েছে। জানা গিয়েছে, জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়েছিল শিশুটি। গত ৭-৮ দিন ধরে ভেন্টিলেশনে ছিল সে।
আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার মাঝেই ঘরে-ঘরে শিশুদের জ্বর-সর্দি-কাশি। এমনকী, পেটের সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হচ্ছে যে হাসপাতালে ভরতি করতে হচ্ছে তাদের। দ্রুত হারে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাস। তবে এখনও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলেই জানাচ্ছে স্বাস্থ্যভবন। বরং সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। গাইডলাইনও জারি করেছে স্বাস্থ্যভবন।
[আরও পড়ুন: ১৫ লক্ষে শিক্ষক, ১২ লক্ষে গ্রুপ-ডি, নিয়োগের রেট বেঁধেছিল ‘সৎ রঞ্জন’, টাকা তুলত এজেন্টরা]
তিনদিনের বেশি সময় ধরে জ্বর থাকলে, মাথাব্যথা, পেটখারাপ হলে চিকিৎসা আবশ্যক। সাধারণত জ্বর-কাশি, গলাব্যথার পাশাপাশি পেট খারাপ, বমি হয়ে থাকে এই ভাইরাসের আক্রমণে। চিকিৎসকরা বলছেন. নির্দিষ্ট সময় অন্তর জ্বর মাপতে হবে। জ্বর কতটা উঠল তা লিখে রাখতে হবে। একদিনের মধ্য়ে জ্বর না কমলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া আবশ্যক। অক্সিমিটার দিয়ে নির্দিষ্ট সময় অন্তর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা পরিমাপ করতে হবে। দু’বছরের কমবয়সিরা অসুস্থ হলে তাদের আলাদা রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
শ্বাসকষ্ট হলে মাস্ক (Mask) ব্যবহার করা আবশ্যক। সেইসঙ্গে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারও গুরুত্বপূর্ণ। অসুস্থ শরীর নিয়ে ভিড়ের মাঝে যেতেও নিষেধ করছেন চিকিৎসকরা। শিশুরা অসুস্থ থাকলে স্কুলে পাঠাতে নিষেধ করছেন তারা। অন্যথায় অন্য় শিশুদের মধ্যে সেই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। তবে নিয়ম মেনে চললে চিন্তার কোনও কারণ নেই আশ্বস্ত করছে স্বাস্থ্যভবন।