ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: দমদমের কঙ্কাল কাণ্ডের (Dum Dum Animal Poaching Case) তদন্তে সিআইডি বা কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা দপ্তরের দ্বারস্থ বনদপ্তর। ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্ট তৈরি করে স্বরাষ্ট্রদপ্তরে পাঠাচ্ছে বন দপ্তরের সচিবালয়। তাদের দাবি, এর পিছনে আন্তর্জাতিক পাচার চক্র জড়িয়ে রয়েছে। এধরনের ঘটনার তদন্তের উপযুক্ত পরিকাঠামো বনদপ্তরের নেই। তাই সিআইডি বা কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের তদন্তের আরজি জানাচ্ছে তারা।
প্রাথমিক রিপোর্ট নিয়ে বনমন্ত্রী জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিভাগীয় সচিব বিবেক কুমার। আলোচনার পর তাঁরা স্বরাষ্ট্রদপ্তরে রিপোর্ট পাঠাচ্ছে। বনদপ্তরের তরফেও একটি তদন্ত কমিটি তৈরি করা হয়েছে। যেখানে উত্তরবঙ্গের ৩ জন ও দক্ষিণবঙ্গের ২ জন আধিকারিক রয়েছে। তারাও নিজেদের মতো তদন্ত করবে। তবে বিষয়টির সঙ্গে আন্তর্জাতিক পাচার চক্রের যোগ থাকায় সিআইডি বা কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা দপ্তরের তদন্তে ভরসা রাখছে বনদপ্তর। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় বনগাঁর এক ব্যবসায়ীর নাম উঠে এসেছে। সূত্রের খবর, তিনিই পশু-পাখির হাড়-চামড়া জোগার করে আনতেন।
[আরও পড়ুন: গ্রেপ্তারির পর প্রথমবার মুখ খুললেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত শান্তনু, কী বললেন?]
অভিযোগ উঠেছে, বনগাঁর ব্যবসায়ী সঞ্জয় মণ্ডল চোরা শিকার চক্রের সঙ্গে যুক্ত। এই সঞ্জয় আবার দমদমের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সৌরভ চৌধুরির ব্যবসায়িক সহযোগী। সৌরভকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সৌরভের স্ত্রী রাখিও এই ঘটনায় তাঁদের সহযোগী। বনদপ্তর আর পুলিশের হানা দেওয়ার মুহূর্তে অন্য গল্প ফেঁদে আত্মহত্যা করতে যান রাখি বলে অভিযোগ। তিনি আপাতত হাসপাতালে। তবে গোটা ঘটনায় এই চক্রের মধ্যে বিগত একমাসে কী ধরনের কথাবার্তা হয়েছে, তা জানার চেষ্টা করছে তদন্তকারী দল। তার জন্য ধৃতদের সকলের মোবাইলের কললিস্ট উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। গত এক-দু’বছরের গতিবিধিও প্রয়োজনে বের করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। বনদপ্তরের অনুমান, এই ঘটনায় চোরা শিকারের বড়সড় রহস্য সামনে আসবে।
[আরও পড়ুন: ৯০ মিনিট ধরে মারধর, গোপনাঙ্গে গরম তরল, হাড়হিম করা ‘হত্যাকাণ্ড’ গুজরাটের নেশামুক্তি কেন্দ্রে!]