সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানবিক মুখ বারবার মুগ্ধ করে তাঁর অতি বড় বিরোধীকেও। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হয়ে সমস্ত গুরুভার সামলানোর পাশাপাশি খোঁজ রাখতে ভোলেন না সমাজের অগ্রজ, গুণীজন, বরেণ্য শিল্পীদের। শুক্রবার সকালে প্রখ্যাত প্রবীণ সঙ্গীত শিল্পী সুপ্রকাশ চাকির অসুস্থতা ও আর্থিক সমস্যার খবর পেয়েই পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি নিজে সশরীরে উপস্থিত হতে না পারলেও মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনকে নির্দেশ দেন, সুপ্রকাশ বাবুর বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেওয়ার। পাশাপাশি তাঁর চিকিৎসায় সরকারি সহযোগিতারও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সুপ্রকাশ চাকি বাংলা সঙ্গীত জগতের বেশ নামী শিল্পী। আকাশবাণীতে দীর্ঘদিন ধরে অনুষ্ঠান করেছেন। বহু রেকর্ড রয়েছে তাঁর। পরবর্তী সময়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও বাণীচক্রে শিক্ষকতা করেছেন। এহেন সঙ্গীতশিল্পীর অসুস্থতার খবরে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন সহশিল্পীরা। খবর পৌঁছয় মুখ্যমন্ত্রীর কানে। তারপরই তিনি শিল্পীকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।
শিল্পী সুপ্রকাশ চাকির বাড়িতে মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন ও স্থানীয় বিধায়ক লাভলি মৈত্র। নিজস্ব চিত্র।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো সঙ্গীত শিল্পী তথা রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, স্থানীয় বিধায়ক লাভলি মৈত্র ও স্থানীয় চেয়ারম্যান পল্লব কুমার দাস সকলে সুপ্রকাশবাবুর বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন। তাঁর ও পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর পাশে থাকার বার্তা পৌঁছে দেন। এর পাশাপাশি মাননীয় মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন নিজে ব্যক্তিগত সঞ্চয় থেকে ১ লক্ষ টাকা তুলে দেন সুপ্রকাশ চাকির হাতে। জানান, সুপ্রকাশবাবুর জন্য অর্থ সংগ্রহের জন্য তিনি সঙ্গীতানুষ্ঠান করবেন, তার বদলে কোনও পারিশ্রমিক নেবেন না। মন্ত্রী একজন সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এভাবে পাশে দাঁড়ানোয় তাঁকে ধন্যবাদ জানালেন ইন্দ্রনীল সেন নিজে।
শিল্পীর হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়ার পাশাপাশি তাঁর আশীর্বাদ নিলেন ইন্দ্রনীল সেন। নিজস্ব চিত্র।
অসুস্থ সুপ্রকাশবাবু এমন ভরসার হাত পেয়ে কিছুটা স্বস্তিতে। মুখ্যমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানাতে এতটুকুও কার্পণ্য করেননি তিনি। বলেছেন, জীবনভর মনে রাখবেন স্নেহময়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সাহায্যের বিষয়টি।