shono
Advertisement
CM Mamata Banerjee

যেন আলিমুদ্দিন! অর্থদপ্তরে বামপন্থী কর্মীদের রাজনৈতিক আলোচনায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী

অর্থদপ্তরের সচিব প্রভাত মিশ্রকে প্রয়োজনে 'এফিশিয়েন্ট' কর্মী নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Published By: Sucheta SenguptaPosted: 04:32 PM Jan 03, 2025Updated: 04:40 PM Jan 03, 2025

স্টাফ রিপোর্টার: অর্থদপ্তর যেন আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। দু-একজন ছাড়া বেশিরভাগ কর্মীই সেখানে বামপন্থী রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করছেন। তাই দপ্তরের সচিব প্রভাত মিশ্রকে প্রয়োজনে 'এফিশিয়েন্ট' কর্মী নেওয়ার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা বলেন, "প্রভাত মিশ্র একজন জেন্টলম্যান। কিন্তু আরও একটু এফেক্টিভ হতে হবে। তোমার যে টিম বসে আছে অর্থদপ্তরে, দু-একজন ছাড়া বেশিরভাগই বামপন্থী রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করে ওখানে। ওটাকে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট বানিয়ে দিয়েছে।" আর এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই মমতা অর্থদপ্তরের সচিবের উদ্দেশে বলেন, "দরকার হলে তুমি নতুন এফিশিয়েন্ট লোক নিয়ে এসো। নিয়ে কাজটা করাও। আমি নিজে সারপ্রাইজ ভিজিট করে দেখে এসেছি, না হলে এটা বলতাম না। ফাইলের পর ফাইল পড়ে আছে। শুধু আলোচনা চলছে কীভাবে মিটিং-মিছিল হবে।"

Advertisement

পাশাপাশি কোন দপ্তরে, ডেভেলপমেন্ট বোর্ডে অব্যবহৃত কত টাকা পড়ে আছে, তারও হিসাব ১৫ দিনের মধ্যে দিতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ বিষয়ে জেলাশাসকদের সক্রিয় হতে বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, "কোন ডিপার্টমেন্টে, ডেভেলপমেন্ট বোর্ডে. কোন কোন সোসাইটিতে কত টাকা নন ইউটিলাইজড হয়ে পড়ে আছে সরকারের এবং কত টাকা ফিক্সড ডিপোজিট পড়ে আছে, তার ডিটেলটা ১৫ দিনে আমাকে পাঠাতে হবে। জেলাশাসকদেরও জেলাভিত্তিক এই কাজ করতে হবে।”

একইসঙ্গে সমবায় ব্যাঙ্কে হিসাব বহির্ভূত প্রচুর টাকা রয়েছে বলেও এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী। সেই টাকাটা উদ্ধার করার নির্দেশ দেন তিনি। এই উদ্ধার হওয়া টাকা রাজ্যের কোষাগারে চলে আসবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, "বহু সমবায় ব্যাঙ্কে বেহিসাবি টাকা রয়েছে ভুয়া অ্যাকাউন্টে। সেখানে অন্যের নামে টাকা রাখা হয়েছে। প্রত্যেকটা নিয়ে তদন্ত করে দেখে এই বেহিসাবি টাকা উদ্ধার করতে হবে। এই টাকাটা রাজ্যের ট্রেজারিতে চলে আসবে। আমি অনেক কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক জানি, যেখানে আন-অ্যাকাউন্টেড টাকা রয়েছে। আগে থেকেই রাখা সেই টাকা।"

এ বিষয়ে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, "যখন নোট বাতিল হয়েছিল জনধন যোজনার নামেও অনেক ভুয়া অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। সেই লোকটি জীবিত আছে না নেই, তা দেখতে হবে। যদি জীবিত থাকে তাহলে ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন হবে। আমি দুমাস - জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাস সময় দিলাম। তার মধ্যে কাজটা শেষ করতে হবে। জেলাশাসকদেরও এই বিষয়টা নিয়ে নজর রাখতে হবে। এটা বড় কাজ।"

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • অর্থদপ্তরের বেশিরভাগ কর্মী নাকি বসে বামপন্থা নিয়ে আলোচনা করেন।
  • বৃহস্পতিবার নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠকে এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
  • অর্থদপ্তরের সচিব প্রভাত মিশ্রকে প্রয়োজনে 'এফিশিয়েন্ট' কর্মী নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
Advertisement