ধনরাজ তামাং, দার্জিলিং: ধর্ম, জাতি যাই হোক, বাংলার মাটিতে সকলেই জলহাওয়ার সঙ্গে একাত্ম হয়ে যান। সে বিহার-ঝাড়খণ্ড ঘেঁষা জঙ্গলমহলই হোক কিংবা ভুটান, নেপাল সীমান্তের দার্জিলিং পার্বত্য এলাকা – সকলেই বঙ্গসন্তান। আর বিভিন্ন জাতি-ধর্মের মিলমিশ এখানকার বৈশিষ্ট্য। সেই ঐতিহ্যেই ভিন ধর্ম বা ভিন জাতের পরিবারগুলির মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্ক তৈরি হয় খুব সহজে। আর এ বিষয়ে সবসময় অগ্রণী ভূমিকা নিতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। যেমন এবার মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সদস্য হয়ে আসতে চলেছেন এক পাহাড়ি বধূ। বিয়ের সানাই বাজল ‘বলে।
সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলে আবেশ। তিনি পেশায় ডাক্তার (Doctor)। যাদবপুরের কেপিসি মেডিক্যাল কলেজ থেকে ডাক্তারি পাশ করে এখন চিকিৎসক। কলেজে পড়ার সময়েই আবেশের আলাপ সহকর্মী দীক্ষা ছেত্রীর সঙ্গে। কার্শিয়ংয়ের (Karseong) মেয়ে দীক্ষা। আবেশ-দীক্ষার বন্ধুত্ব ধীরে ধীরে গড়ায় প্রেমে। আর এবার প্রণয় বদলে যেতে চলেছে দাম্পত্যে। চার হাত এক হতে চলেছে আগামী মাসেই। সূত্রের খবর, কার্শিয়ংয়ের এক পাঁচতারা হোটেলে বসছে বিয়ের আসর।
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটে নিহতদের পরিবারকে চাকরি, মমতার ঘোষণায় সিলমোহর মন্ত্রিসভার]
শোনা যাচ্ছে, আগামী ৭ ডিসেম্বর আবেশ-দীক্ষার বাগদান (Engagement) অনুষ্ঠান। ওইদিনই বরযাত্রী নিয়ে কার্শিয়ং যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে মার্চের গোড়ায় দার্জিলিং সফরে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, “আমাদের পরিবারের একজনকে বিয়ে দিচ্ছি। পাহাড়ের মেয়ের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছে। ওকে বাড়ির বউমা করে নিয়ে যাব। আপনাদের বাড়ি এখন আমারও বাড়ি।” তবে তার আগে ৫ কিংবা ৬ ডিসেম্বরও পাহাড়ে পৌঁছে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। বাড়ির ছেলের বিয়ে বলে কথা। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে পাহাড়ি মেয়েকে ঘরের বউমা করে আনছেন তিনি। ওই একই সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকও রয়েছে। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড় যাত্রা নিশ্চিত। মকাইবাড়ি টি এস্টেটের ম্যানেজারের বাংলোয় তাঁর থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে খবর। ৬ তারিখ বাগদানের পর ১৬ তারিখ কার্শিয়ংয়ের পাঁচতারা হোটেলে রিসেপশন (Reception) আবেশ-দীক্ষার।
[আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপীর বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা শেষ হয়নি, আদালতের কাছে আরও ১৫ দিন সময় চাইল ASI]
মাতৃহারা দীক্ষার বাবা সুরেন ছেত্রী কার্শিয়াং পুরসভার ক্লার্ক। ডাক্তার মেয়ের জন্য ডাক্তার পাত্র এবং সর্বোপরি মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের বউমা হওয়ায় খুশি তিনি। এখন শুধু চার হাত এক হওয়ার অপেক্ষায়। বিয়ের পর দীক্ষা-আবেশ কলকাতাতেই থাকবেন বলে পরিবার সূত্রে খবর।