সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাম নেই ২০০২ সালের ভোটার তালিকায়। অথচ আগে-পরে ভোট দিয়েছেন বহুবার। কিন্তু এসআইআর লাগু হওয়ায় নাগরিকত্ব বাতিল হতে পারে তাঁর, ফিরে যেতে হতে পারে বাংলাদেশে। বীরভূমের ইলামবাজারের ৯৫ বছরের বৃদ্ধের মৃত্যুর নেপথ্যে স্রেফ এই আতঙ্ক কাজ করেছে বলে দাবি পরিবারের। এই মৃত্যু নিয়ে এবার ফুঁসে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে তাঁর লড়াকু বার্তা, শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়ব। জনতার উদ্দেশে লিখলেন, 'চরম কোনও পদক্ষেপ নেবেন না, মা-মাটি-মানুষের সরকার পাশে রয়েছে।'
২৮ অক্টোবর থেকে বাংলায় শুরু এসআইআর প্রক্রিয়া। ওইদিনই আতঙ্কে পানিহাটির প্রদীপ করের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। সুইসাইড নোটে তিনি এনিয়ে আতঙ্কের কথা লিখে গিয়েছিলেন বলে জানা যায়। এরপর বুধবার, কোচবিহারের খায়রুল শেখের নাম ভোটার তালিকায় ভুল থাকায় নাগরিকত্ব বাতিলের ভয়ে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। আর বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে পুশব্যাকের আতঙ্কে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় বীরভূমের ইলামবাজারের ৯৫ বছরের বৃদ্ধের। ধারাবাহিকভাবে এসব ঘটনাকে 'মানবতার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা' বলে উল্লেখ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বিজেপিকে দায়ী করার পাশাপাশি জনতার উদ্দেশে আশ্বাসবাণী দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
পোস্টে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, 'এধরনের যে অনিবার্য ঘটনা ঘটে চলেছে, তার দায়িত্ব কে নেবে? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নাকি বিজেপি ও তার সঙ্গীরা? এই যে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে, তা নিয়ে সাহস থাকলে বিজেপি নেতারা সকলের সামনে এসে কথা বলুন।' এর পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের নাম না করেও মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, 'বাংলায় সোজা পথে বা বাঁকা পথে এনআরসি হতে দেব না। একজন নাগরিককেও বহিরাগত তকা দিতে দেব না। এমনটা হলে বাংলা শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়বে।'
