সুব্রত বিশ্বাস: ভোটের মধে্য উত্তরবঙ্গ থেকে শহরে প্রচুর গঁাজা ঢোকানোর চেষ্টা। কিন্তু আরপিএফ ও জিআরপির তৎপরতার শিয়ালদহ স্টেশনেই ধরা পড়ে গেল তিন পাচারকারী। তাদের মধে্য একজন মহিলা। আটক গঁাজার পরিমাণ ২০ কেজি। যার দাম আনুমানিক তিন লক্ষ টাকা।
ধৃতদের মধে্য সরস্বতী বর্ধন কোচবিহারের বাসিন্দা। অন্য দু’জন বারাকপুরের বাসিন্দা অসীম রায় ও কলকাতা শরৎ বোস রোডের জগন্নাথ পোড়েল। আরপিএফের আইজি পরমশিব জানাচ্ছেন, ''ভোটের মধে্য কর্মী সংখ্যা কম রয়েছে। তা সত্ত্বেও নজরদারি জোরদার থাকায় এধরনের অপরাধ ধরা পড়েছে। আরপিএফের শিয়ালদহের ইন্সপেক্টর শৈলেন্দ্রকুমার জানিয়েছেন, নির্বাচনী সতর্কতার জন্য আরপিএফ ও জিআরপির যৌথ টহলদারি চলছিল।''
[আরও পড়ুন: ‘বাংলায় বলুন…’ কেশপুরে ভোটপ্রচারে ট্রোলড হিরণ, ভাইরাল ভিডিও]
জানা গিয়েছে, সকাল সওয়া সাতটা নাগাদ পদাতিক এক্সপ্রেস শিয়ালদহে (Shealdah) আসার পর মহিলা যাত্রী সরস্বতী বর্মন ৯ নম্বর প্ল্যাটফর্মের কাছে দুই ব্যক্তির সঙ্গে লেনদেন নিয়ে বচসা বঁাধায়। চাপা স্বরে ঝামেলা চললেও টহলরত বাহিনীর সন্দেহ হওয়ায় তারা তিনজনকে ঘিরে ধরে। এর পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে জানা যায়, মহিলার সঙ্গে থাকা পিট্টু ও ট্রলি ব্যাগে রয়েছে গঁাজা। এর পরই তিন অভিযুক্তকে আটক করা হয়। এর পর অদূরে থাকা অন্য এক ব্যক্তি বেগতিক বুঝে গা ঢাকা দেয়। পলাতক ব্যক্তি মহিলার স্বামী সফিকুল ইসলাম।
সরস্বতী বর্মন জানিয়েছে, সে কেরিয়ার। কোচবিহার থেকে শিয়ালদহ স্টেশন পর্যন্ত এই গঁাজা (Contraband) পৌঁছে দেওয়ার জন্য তাকে পারিশ্রমিক দেওয়া হয় পঁাচ হাজার টাকা। শিয়ালদহে গঁাজা নিতে আসে অসীম রায় ও জগন্নাথ পোড়েল। তারাও স্টেশনে সরস্বতীকে কিছু টাকা দেওয়ার কথা ছিল। সেই টাকা নিয়ে চলছিল বচসা। যার জেরে বমাল ধরা পড়ে যায় তিনজনই। তাদের জিআরপি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।