সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশে অশান্তির আবহে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দীপু দাসকে খুনের ঘটনা নিয়ে এ বার সরব হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বিঁধলেন সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেই। দীপু খুন নিয়ে কেন এখনও প্রধানমন্ত্রী নীরব, তুললেন সেই প্রশ্নও।
বাংলাদেশে ইনকিলাব মঞ্চের নেতা ওসমান হাদির মৃত্যুর পর অশান্তির পরিস্থিতির মধ্যে ময়মনসিংহে দীপুকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বার দুয়েক কড়া বিবৃতি দিয়েছে কেন্দ্র। বাংলাদেশের কাছে দীপু খুনের বিচার দাবি করেছে তারা। পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনা নিয়ে ঢাকাকে বার্তা দিয়েছে নয়াদিল্লি। কিন্তু আলাদা করে প্রধানমন্ত্রী বা বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের কোনও বিবৃতি প্রকাশ্যে আসেনি। তা নিয়েই অভিষেক বলেন, "দীপু দাস নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং বিদেশমন্ত্রীর কোনও বিবৃতি বা একটা টুইটও নেই। এঁরা আবার নিজেদের হিন্দুদের রক্ষাকর্তা বলেন। ওঁদের হিন্দু প্রেম নিয়েই তো প্রশ্ন ওঠে। দু'মাস আগেই প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এসেছিলেন। উনি এখন চুপ কেন?" রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও বিঁধেছেন অভিষেক। বলেছেন, "শুভেন্দু অধিকারী বলেছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের থেকে ইউনূসের সরকার ভালো। আপনিই সার্টিফিকেট দিয়েছেন। তা হলে ওখানেই এখন হিন্দুদের মারা হচ্ছে!"
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে অস্ত্র বিজেপি এ দেশে রাজনীতি করছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন অভিষেক। তিনি বলেন, "দীপু দাসকে বলা হচ্ছে নাকি ধর্মের বিরুদ্ধে কুরুচিকর কথা বলেছে। এটার প্রমাণ কী? কারা রটাল? বাংলাদেশে এটা নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। আর এখানে বিজেপি করছে। পুলওয়ামার ছবি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভোট চেয়েছিলেন। আর বিজেপি এখানে এগুলো নিয়ে রাজনীতি করছে। ও দিকে জামাত যা করছে, এখানে বিশেষ করে বাংলায় বিজেপিও একই ভাষায় কথা বলছে।"
তবে অভিষেক স্পষ্ট করে দিয়েছেন, বাংলাদেশ সংক্রান্ত বিষয়ে কেন্দ্র যে সিদ্ধান্ত নেবে, তাতে তৃণমূলের সমর্থন থাকবে। বিদেশনীতি নিয়ে অবশ্য বরাবরই কেন্দ্রের পাশে দাঁড়িয়ে এসেছে বঙ্গের শাসকদল। পহেলগাঁও হামলা এবং পরবর্তী অপারেশন সিঁদুর অভিযানের সময়েও তা-ই হয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, মোদি বিদেশে যে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিলেন, সেই দলে অভিষেকও ছিলেন। কিন্তু তৃণমূল সাংসদের প্রশ্ন, বাংলাদেশ সংক্রান্ত বিষয়ে কেন্দ্র নিজেদের সিদ্ধান্ত জানাচ্ছে না কেন? অভিষেকের কথায়, "বাংলাদেশ নিয়ে কেন্দ্র সরকার যা সিদ্ধান্ত নেবে আমরা তার পাশে থাকব। এটা দলের সিদ্ধান্ত। সেটা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত জানাচ্ছে না কেন?"
