ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: এসআইআর সংক্রান্ত শুনানির কাজ শুরু হয়েছে আজ শনিবার থেকে। সেদিনই এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে একাধিক অভিযোগ এনে সিইও দপ্তরের দ্বারস্থ হল তৃণমূল কংগ্রেস। অভিযোগ, ইআরওদের ক্ষমতা খর্ব করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, লক্ষ লক্ষ মানুষের নাম বাদ দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। নির্বাচন কমিশন বিজেপির বি-টিম হিসাবে এই কাজ করছে বলেও অভিযোগ তৃণমূলের।
আজ শনিবার কলকাতায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল। দলে ছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মানস ভূইঞা, মলয় ঘটক, অরূপ বিশ্বাস এবং শশী পাঁজা। দীর্ঘক্ষণ সিইও'র সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে সাংবাদিক বৈঠক থেকে একাধিক ইস্যুতে কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ''যে ৫৮ লক্ষের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে তা ইআরও'র নেট থেকে নেওয়া হয়েছে। যা ইআরও'র করার কথা, সেই ক্ষমতা কেড়ে কেন্দ্রীয় কোনও প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা করা হচ্ছে।'' কিন্তু তা কেন? তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন চন্দ্রিমা।
শুধু তাই নয়, এই ইস্যুতে নাম না করে বিজেপিকে আক্রমণ করে তাঁর প্রশ্ন, ''একটা রাজনৈতিক দল লক্ষ্য করে দিয়েছে, দু'কোটি নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। তা করতেই প্রথমে ৫৮ লক্ষ, পরে ডিসপোসাল করে ১ কোটি ৩৪ লক্ষ করার ছক কখনই মেনে নেওয়া হবে।'' এই ইস্যুতে তৃণমূল আওয়াজ তুলবে বলেও দাবি রাজ্যের মন্ত্রীর। শুধু তাই নয়, ভোটার তালিকা সংশোধন বা এসআইআর প্রক্রিয়ায় ইআরও'র যে কাজ, ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে তাও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ।
এই বিষয়ে কমিশনের একটি নির্দেশকে তুলে ধরে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ''কমিশন বলে দিচ্ছে ডিইও সব দেখবে। কিন্তু ওনার কাজ কী? উনি তো ফার্স্ট অ্যাপিলেট অথরিটি। সেই যদি সব বলে দেয় তাহলে ইআরও'র কাছে আবেদন করে সুরাহা হবে"? প্রশ্ন তৃণমূল নেত্রীর। এক্ষেত্রে কমিশন কোনও নিয়ম মানছে না বলেও অভিযোগ তাঁর।
বলে রাখা প্রয়োজন, আজ শনিবার থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছে এসআইআরে শুনানি পর্ব। যা নিয়ে মানুষের মধ্যে একাধিক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রবীণ মানুষকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়ে কমিশনকে একহাত নেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ''শুনানির জন্য অনেক জায়গাতে ভোটারদের ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে যেতে বলা হচ্ছে। একজন প্রবীণ মানুষের পক্ষে এত দূরে গিয়ে শুনানির জন্য আদৌও সম্ভব?'' প্রশ্ন মন্ত্রীর।
