গোবিন্দ রায়: রেশন দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যে জেলবন্দি বাকিবুর রহমান, মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং বনগাঁর প্রাক্তন পুরচেয়ারম্যান শংকর আঢ্য। ইডির স্ক্যানারে সন্দেশখালির ‘ফেরার’ তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। এই পরিস্থিতিতে এবার রেশন দুর্নীতি সংক্রান্ত রাজ্য পুলিশের হাতে থাকা সব মামলার তদন্তভার সিবিআইকে তুলে দেওয়ার দাবি। কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন ইডি। আগামী সপ্তাহে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
রেশন দুর্নীতি মামলায় রাজ্য পুলিশের কাছে ৬টি মামলা রয়েছে। হাই কোর্টে ইডির বক্তব্য, ওই ৬টি মামলায় রাজ্য পুলিশ প্রকৃত তদন্ত করেনি। মূল ষড়যন্ত্রকারীদের বাদ রেখেই তদন্ত করেছে। তাই সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হোক। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আরও বিস্ফোরক দাবি, এই দুর্নীতিতে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তথা মন্ত্রীও জড়িত রয়েছে। যোগসাজশের পর্যাপ্ত প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও বিনা কারণে তদন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই মামলাগুলির কী অগ্রগতি হয়েছে এবং যুক্ত থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি বলেই দাবি ইডির। রাজ্য তদন্তকারী সংস্থা এই দুর্নীতির তদন্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে, অভিযোগ ইডির।
[আরও পড়ুন: মাধ্যমিকের প্রথম দিনেই ‘প্রশ্নফাঁস’! পরীক্ষা শুরুর পরই সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল ছবি]
উল্লেখ্য, রেশন দুর্নীতি মামলায় বর্তমানে ইডি তদন্ত করছে। ইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে জেলবন্দি বাকিবুর রহমান, মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং বনগাঁর প্রাক্তন পুরচেয়ারম্যান শংকর আঢ্য। ইডির স্ক্যানারে সন্দেশখালির ‘ফেরার’ তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানও। ইডির নজরে রয়েছেন ধৃতদের পরিবারের লোকজনও। জ্যোতিপ্রিয় থেকে শংকর আঢ্য সকলেই তাঁদের পরিবারের লোকজনের নামে বিভিন্ন সংস্থা খুলে আর্থিক লেনদেন করেছেন বলেই দাবি ইডির। সব মিলিয়ে প্রায় হাজার কোটি টাকার রেশন দুর্নীতি হয়েছে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। শংকর আঢ্যর ফোরেক্স সংস্থার মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করা হয়েছে বলেও তথ্য পেয়েছে ইডি।