ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: এবার ঘণ্টায় ঘণ্টায় সংকটজনক কোভিড (COVID-19) রোগীর অবস্থা কেমন এসএমএসের মাধ্যমে তা রোগীর পরিজনদের জানানো হবে। সেপ্টেম্বর মাস থেকেই এই ব্যবস্থা চালু করেছে স্বাস্থ্যদপ্তর। রাজ্যের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
রাজ্যের সব সরকারি-বেসরকারি কোভিড হাসপাতালকে কোভিড পেশেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় আগেই আনা হয়েছে। এবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে ভেন্টিলেশন বা আইসিইউতে থাকা রোগীদের পরিবারের উদ্বেগ কিছুটা কমাতে মোবাইলে মেসেজ করা হবে। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা অজয় চক্রবর্তী বলছেন, “রোগী ভেন্টিলেশনে থাকলে পরিবারের উৎকন্ঠা বাড়ে। আত্মীয়রা চিন্তায় থাকেন। এই জন্য এই ব্যবস্থা চালু হচ্ছে।” স্বাস্থ্য দপ্তরের আরেক আধিকারিকের কথায়, রোগীর পালস রেট, রক্তে অক্সিজেনের অবস্থা-সহ কয়েকটি বিষয়ের উল্লেখ থাকবে। তবে রোগীর নামের জায়গায় থাকবে আইডি নম্বর।
সরকারি নিয়ম মেনে ইতিমধ্যে বেলেঘাটা আইডি এবং এম আর বাঙুর হাসপাতালে বিশেষ ব্যবস্থা চালু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এই মাসের মধ্যেই রাজ্যের সব সরকারি কোভিড হাসপাতালকে যুক্ত করা হবে। অর্থাৎ টেলিফোনে ও মোবাইলে খবর জানানোর পাশাপাশি ভেন্টিলেশনে থাকা গুরুতর অসুস্থ রোগীদের খবর মেসেজ করে জানানো হবে। এটা যেমন একটা দিক তেমনই সরকারি কোভিড হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্স ও অন্য স্বাস্থ্য কর্মীদের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। কাগজ-কলম-ফাইল থেকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় তার জন্য সমস্ত কাজকর্ম বা হিসেব-পত্তর কম্পিউটারের মাধ্যমে শুরু হবে। নবান্নের নির্দেশে এই পদক্ষেপ। গোটা ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করবে অর্থ দপ্তরের অধীনে থাকা অডিট এন্ড একাউন্টস সার্ভিস। যার পোশাকি নাম ‘ইন্টিগ্রেটেড ফিনাসিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ (আই এফ এমএস)।
[আরও পড়ুন: সাতসকালে হুগলিতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, মৃত রাজ্য পুলিশের আধিকারিক-সহ ৩]
আইএফএমএস ব্যবস্থা পর্যায়ক্রমে রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ, জেলা ও ব্লক হাসপাতাল এবং গ্রামীন স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও চালু হবে। গোটা ব্যবস্থা শুরু করার জন্য বেসরকারি বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতা নেওয়া হবে বলে স্বাস্থ্য দপ্তরের অর্থ বিভাগের এক আধিকারিক জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, নবান্ন থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে। কাজ শুরু হবে অর্থ দপ্তরের অডিট এন্ড আকাউন্টস সার্ভিসের উদ্যোগে। প্রথম ধাপ হিসেবে কোভিড হাসপাতালের নার্সদের আই প্যাড বরাদ্দ করা হয়েছে। রোগীর প্রেসক্রিপশন, প্যাথলজিক্যাল রিপোর্ট, ডায়েট চার্ট, সহ সমস্ত তথ্য আই প্যাডে নথিভুক্ত করে কম্পিউটারে রাখা হবে। সেই তথ্য যেমন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক দেখতে পাবেন, তেমনই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও জানতে পারবেন।