স্টাফ রিপোর্টার: ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবরের পর কোভিড (COVID-19) আক্রান্ত হলেও বিমার ক্ষতিপূরণ মিলবে না। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। তৃতীয় ঢেউ এলেও সংক্রমণ কম। মৃত্যু আরও কম। যাঁদের সংক্রমণ হচ্ছে, তাঁরা বাড়িতেই সুস্থ হচ্ছেন। হাসপাতালে ভরতির প্রয়োজন হচ্ছে না। ফলে বিমারও দরকার নেই। আর সেই কারণেই বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য প্রশাসন।
২০২১ সালের ৩১ অক্টোবরের পর আক্রান্ত হলেও কোভিড বিমার টাকা (Compensation) মিলবে না। বৃহস্পতিবার এমনই সিদ্ধান্ত নিল স্বাস্থ্যদপ্তর। তবে এই বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়নি। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের অভ্যন্তরীণ হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) মেসেজে জানানো হয়েছে। ‘স্বাস্থ্যসাথী’র (Swasthya Sathi) আইটি সেলের একটি মেসেজে বলা হয়েছে, কোভিড আক্রান্তদের কোভিড বিমা বাবদ এক লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। ধরা যাক, কেউ ২০২১ সালের ১৫ অক্টোবর সংক্রমিত হয়েছেন। কোভিডমুক্ত হয়ে ৩১ অক্টোবর হাসপাতাল থেকে ছুটি পেলেন। ওই ব্যক্তি কোভিড বিমার টাকা পাবেন। কিন্তু যদি দেখা যায়, কোনও ব্যক্তি ৩১ অক্টোবর সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়েছেন। তবে হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়েছেন ১ নভেম্বর। সেই ব্যক্তি আর্থিক সাহায্য বা কোভিড বিমার পলিসির টাকা পাবেন না।
[আরও পড়ুন: দুয়ারে ক্যানসার নির্ণয় প্রকল্প, বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্তন পরীক্ষায় বাংলার আশাকর্মীরা]
বিষয়টি আরও স্পষ্ট করে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম ব্যাখ্যা করেছেন। স্বাস্থ্যসচিবের কথায়, “কোভিডের প্রথম বা দ্বিতীয় ঢেউয়ে যেভাবে লাগামছাড়া সংক্রমণ হয়েছিল। তৃতীয় ঢেউয়ে তার তুলনায় কিছুই হয়নি। সংক্রমণ হলেও বাড়িতে নিভৃতবাসে থেকেই সুস্থ হয়েছেন। হাসপাতালে ভরতির প্রয়োজন হয়নি। শুধু তাই নয়, মৃত্যুহারও কম। তাই স্বাস্থ্যদপ্তর সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখে সমীক্ষার রিপোর্ট হাতে নিয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
[আরও পড়ুন: সরকারের ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ডে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা, প্রশংসা বিজেপি প্রার্থীর স্বামীর]
অর্থাৎ ৩১ অক্টোবরের পর কোভিড সংক্রমিত হলেও বিমার টাকা মিলবে না। ঘটনাচক্রে বিধানসভায় বাজেট ভাষণে স্বাস্থ্যদপ্তরের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টচার্য জানান, মুখ্যমন্ত্রী করোনা আক্রান্তদের ১ লক্ষ ও কোভিডে মৃতদের জন্য ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন। এখনও ৪ লক্ষ ৪৪ হাজার ১৪৭ জন তা পেয়েছেন।