সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: দিল্লিতে যেন একটুকরো বাংলা। রাজ্যের ইস্যুতে রাজধানীতে পথে নামল রাজ্যের শাসক-বিরোধী দুই শিবিরই। এদিন সকালে দিল্লিতে রাজ্য সরকারের সরকারি অতিথিশালা বঙ্গভবন ঘেরাও করার চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মীরা। যদিও পুলিশি ধরপাকড়ে বিজেপির সেই উদ্দেশ্য সফল হয়নি। আটক করা হয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিকে ভুয়ো ভোটার ইস্যুতে পথে নেমেছে তৃণমূলও।
মোথাবাড়ি থেকে বাংলায় হিন্দুদের প্রতি নির্যাতন, একাধিক ইস্যুতে দিল্লির বঙ্গভবন ঘেরাওয়ের কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপি সমর্থিত আইনজীবী সংগঠন লয়ার্স' ফর জাস্টিস। সেই আইনজীবীদের বিক্ষোভে বিজেপি কর্মীরাও যোগ দেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও সেই বিক্ষোভে যোগ দেন। যদিও পুলিশ বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেয়। সুকান্ত মজুমদারকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় সংসদ মার্গ থানায়। সেই থানা থেকে আবার পরে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হন সুকান্তরা।
এদিকে ভুয়ো ভোটার ইস্যুতে এদিন ফের নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের রাজ্যসভা এবং লোকসভার সাংসদরা যৌথভাবে মিছিল করে নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে যান। নির্বাচন কমিশনের দপ্তর থেকে সংসদ পর্যন্তও মিছিল করে যান তাঁরা। রাজ্যের শাসকদলের বক্তব্য, আধার কার্ড-ভোটার কার্ডের সংযুক্তিকরণ আরও বড় সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। কারণ কমিশন যাচাই না করেই ভুয়ো ভোটার কার্ড আধার কার্ডের সঙ্গে সংযুক্তিকরণের অনুমতি দিচ্ছে। ফলে ভুয়ো ভোটার সংখ্যা কমার বদলে আরও বেড়ে যেতে পারে। এই নিয়ে সংসদেও আলোচনা চেয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু আলোচনার অনুমতি দেয়নি সরকার।