বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: আগামীদিন কোন পথে চলবে পার্টি? রাস্তার সন্ধানে বসে দিশাহারা সিপিএম (CPIM)। দু’টি পথ দু’টি দিকে গেল বেঁকে। বিজেপিকে ঠেকাতে কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গে বিরোধী জোটে, নাকি সমদূরত্বের লাইন। পার্টি কংগ্রেসেই একটি পথ খুঁজে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল সিপিএম। রাজ্যে অবশ্য বিজেপিকে প্রধান শত্রু চিহ্নিত করার পক্ষে একমত। বিজেপি বিরোধী জোটে থাকলেও তৃণমূলকে (TMC) মিত্র ভাবার জায়গা নেই বলে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে গলা ফাটিয়েছে বঙ্গ সিপিএম।
পার্টির রাজনৈতিক রণকৌশলের লাইন ঠিক করতে বসেও সম্মুখ সমরে দুই শিবির। বিবাদে জড়াল চিরাচরিত যুযুধান শত্রু শিবির। একদিকে প্রবল বিক্রমে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফেরা কেরলের মালওয়ালি নেতারা। বিপক্ষে রাজ্যে একেবারে শূন্য হয়ে যাওয়া বঙ্গ সিপিএম। যুক্তি পালটা যুক্তিতেও সরগরম ছিল পার্টির দ্বিতীয়দিনের বৈঠক।
[আরও পড়ুন: বিজেপি বিরোধী জোট ভাঙার কাজ করছে তৃণমূল, অভিযোগ অধীরের]
এদিনও বাংলার তিন নেতা সুজন চক্রবর্তী, মৃদুল দে ও রবীন দেব (Rabin Deb) বিজেপি বিরোধী জোটে থাকার পক্ষে গলা ফাটান বলে সূত্রের খবর। পালটা কংগ্রেস ও বিজেপির থেকে সমদূরত্ব রেখে লড়াইয়ের পক্ষে সওয়াল করেন মালয়ালি নেতারা। দু’পক্ষের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে আপাতত বিষয়টি পার্টি কংগ্রেসের মঞ্চে মীমাংসার জন্য ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। তবে, বাংলার নেতারা যে এখনও কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের পক্ষে তা এদিনের আলোচনায় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: কানহাইয়া যোগ দিতেই বিহারে আরজেডির হাত ছাড়ল কংগ্রেস! লোকসভায় একা লড়ার সম্ভাবনা]
রবিবার সাধারণ সম্পাদকের জবাবি ভাষণে পথ খুঁজে পাওয়া গেল নাকি দু’টি পথই খুলে রাখা হলো সেই আভাস মিলবে। তবে রাজ্যভিত্তিক পরিস্থিতির কথা বিচার করে দু’টি পথই খুলে রাখার সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য। আর রাজ্যের ক্ষেত্রে সেখানকার পার্টির ওপর সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।