shono
Advertisement

Breaking News

ভোট ফেরাতে ‘জান কবুল লড়াই’চাই, পুরভোটের আগের মুহূর্তে জেলা নেতৃত্বকে নির্দেশ আলিমুদ্দিনের

ভোট চলাকালীন মাঝপথে প্রার্থী প্রত্যাহার বা বয়কট চলবে না, জেলায় জেলায় বার্তা সিপিএম নেতৃত্বের।
Posted: 09:33 PM Feb 26, 2022Updated: 09:50 PM Feb 26, 2022

বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: গত পুরভোটে (WB Civic Polls) যে ভুল হয়েছিল, তার পুনরাবৃত্তি চাইছে না আলিমুদ্দিন। ভোট চলাকালীন মাঝপথে প্রার্থী প্রত্যাহার কোনওভাবেই করা যাবে না। ভোট বয়কটও চলবে না। তবে ব্যাপক ছাপ্পা বা রিগিং হলে পথ অবরোধ বা বিক্ষোভ করা যেতে পারে। জেলা নেতৃত্বকে সাফ জানিয়ে দিল শীর্ষ নেতৃত্ব। কারণ, রাজ্যে পরিবর্তন হচ্ছে বিরোধী অভিমুখ। বিরোধী পরিসর ধীরে ধীরে দখলে নিচ্ছে বামেরা। সেই পরিসর আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে ভোটের দিন সকাল থেকেই দিতে হবে ‘জান কবুল লড়াই’। জেলা নেতৃত্বকে কার্যত নির্দেশ আলিমুদ্দিনের।

Advertisement

লোকসভার পর বিধানসভা। পরপর দুটি নির্বাচনে বামেদের (Left Front) ঝুলিতে শূন্য। বিরোধী পরিষদের দখল নিয়েছিল গেরুয়া শিবির। বিধানসভা ভোটের পর থেকেই গেরুয়া স্রোতে ভাটার টান। রাস্তায় নেমে লাগাতার বিক্ষোভ কর্মসূচিতে থাকার ফল পাচ্ছে বামেরা। একটু জোয়ার এসেছে লাল স্রোতে। প্রথমে কলকাতা পুরসভা। পরে আরও চারটি নগরনিগম। দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে লাল শিবির। পদ্ম শিবিরে চলে যাওয়া জনসমর্থন একটু একটু করে ফিরছে বলে মনে করছে আলিমুদ্দিন।

[আরও পড়ুন: ‘শুভেন্দুর প্রার্থী’কে ভোট দেওয়ার আরজি, তৃণমূল নেতাকে ফোন শিশির অধিকারীর! ভাইরাল অডিও]

সেই ভোট আরও বাড়িয়ে তুলতে বেশ কয়েক দফা নির্দেশ দিল আলিমুদ্দিন –

  • প্রথমত, পুরসভা ভিত্তিক নির্বাচন কমিটি গঠন করা হয়েছে তেমনি ভোটের দিন কন্ট্রোল রুম করতে হবে। সব বুথে এজেন্ট দেওয়া বাধ্যতামূলক। ভোট চলাকালীন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সেখানে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
  • দ্বিতীয়ত, যত বেশি সংখ্যক তরুণ পার্টি সদস্যকে পোলিং এজেন্ট করতে হবে। পার্টির বাইরে থাকা বামমনস্ক মানুষদের সংগঠিত করে রাস্তায় থাকতে হবে। কোন কোন ঘটনা ঘটলে তৎক্ষণাৎ স্থানীয় এরিয়া কমিটি কন্ট্রোল রুমে খবর দিতে হবে।
  • তৃতীয়ত, বিগত দুটি পুরভোটে পুলিশের ভূমিকা দেখা গিয়েছে। পুলিশের উপর ভরসা না করে পরিস্থিতির মোকাবিলায় নিজেদেরকে তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়েছে আলিমুদ্দিন (Alimuddin)।
    সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী জানান, অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে মানুষ বুঝতে পারছে বিজেপি কখনওই তৃণমূলের বিকল্প হতে পারে না। তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করার ক্ষমতা একমাত্র বামেদেরই আছে। তাই জনসমর্থন ফিরছে।

[আরও পড়ুন: রাষ্ট্রসংঘে কূটনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ অবস্থান, ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ রাশিয়া]

অন্যদিকে, পুরভোটের আগের দিন থেকেই নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের শুরু করল বিরোধীরা। ভোটের কাজে যাদের ব্যবহার করার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তাদেরকেই দায়িত্ব দিয়েছে কমিশন। অভিযোগ বামেদের। প্রতিটি পুরসভা এলাকা‌ বহিরাগতদের দখলে অভিযোগ কংগ্রেসের। সিপিএম (CPM) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর অভিযোগ, কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী সিভিক ভলেন্টিয়ার বা অস্থায়ী কর্মীদের ভোটের কাজে নিয়োগ করা যায় না। কিন্তু এবার পুরভোটে এদেরকেই ব্যবহার করছে কমিশন। আসলে শাসকদলকে ভোট লুটে সাহায্য করতে কমিশন এদের ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ সুজনের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement