স্টাফ রিপোর্টার: ফের ডেঙ্গুতে মৃত্যু। ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোমে মৃত্যু হল দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের এমএম ঘোষ রোডের বাসিন্দা মহুয়া রায়ের (৪৭)। স্থানীয় সূত্রে খবর, এমএম ঘোষ রোডের বহুতল আবাসনের বাসিন্দা মহুয়া রায় জ্বর নিয়ে দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন গত ১৩ অক্টোবর। ক্রমেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় আইসিইউয়ে রাখা হয়েছিল মহুয়াকে। শেষরক্ষা হল না।
এই কিছুদিন আগেই দক্ষিণ দমদম (South Dum Dum) পুর এলাকার বাসিন্দা কিশোর সায়ন হালদারের (১৬) মৃত্যু হয়েছিল ডেঙ্গুতে (Dengue)। মাত্র দশদিনের ব্যবধানে দুই মৃত্যুতে শঙ্কিত দক্ষিণ দমদমের বাসিন্দারা। মহুয়া রায়ের পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, গত শুক্রবার শারীরিক অবস্থার অত্যন্ত অবনতি হয় মহুয়ার। কমতে শুরু করে প্লেটলেট। রাত ১২টা ১০ নাগাদ জানা যায়, শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন মহুয়া। ঘটনার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন মহুয়ার পাড়ার লোকজন।
[আরও পড়ুন: মাছ নয়, বাড়ির পুকুরে সাঁতরে বেড়াচ্ছে ৮ ফুট লম্বা কুমির, ত্রস্ত রায়দিঘি]
পুরসভার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বারবার সচেতন করেও লাভ হয়নি। এলাকার বাসিন্দারা যত্রতত্র নোংরা ফেলছেন। আবর্জনার কারণে মশার উপদ্রব বাড়ছে। যদিও পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল সঞ্জয় দাসের বক্তব্য, “মানুষকে বারবার সচেতন হতে বলছি।” সাপ্তাহিক রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, গত এক সপ্তাহে সব থেকে বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত উত্তর ২৪ পরগনায়। দ্বিতীয় স্থানে হাওড়া। তিনে কলকাতা।
এদিকে এরই মধ্য়ে শনিবার মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী সমস্ত জেলার জেলাশাসক, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, মেডিক্যাল কলেজের সুপারদের সঙ্গে এক ভারচুয়াল বৈঠক করেন। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাশ টানতে হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত ওষুধের পাশাপাশি, আরও বেশি করে রক্ত পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ৩১ হাজার মানুষ ডেঙ্গুর কবলে পড়েছেন। উদ্বেগজনক পরিস্থিতি উত্তর ২৪ পরগনার রাজারহাট ও দেগঙ্গায়।